এতিমখানাকে মাদরাসা দেখিয়ে শিক্ষক নিয়োগ

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি |

বুড়িচংয়ে হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানাকে স্থানীয় একটি চক্র স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার নাম কাগজে-কলমে দেখিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ নিয়ে ওই গ্রামে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের উত্তর কালিকাপুর গ্রামে গত ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি সর্বসম্মতিক্রমে হাফিজিয়া ও এতিমখানা নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। প্রতিষ্ঠান কিছুদিন চলার পর একটি চক্র স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাটির নাম গোপন রেখে উৎকোচ নিয়ে পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়।

স্থানীয় ইউপি যুবলীগ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম আখন্দ কয়েকজন বলেন, হাফিজিয়া মাদরাসা চালুর প্রায় ২৫ বছর পূর্বে এখানে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম কাজী আবদুল হালিম। মাদরাসাটি কয়েক বছর চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে নির্মাণ করা মাদরাসার ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। পরবর্তীরসময়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে নতুন করে ওই স্থানে ঘর নির্মাণ করে হাফিজিয়া ও এতিমখানা নামে একটি মাদরাসা চালু করেন।

তারা আরও জানান, সরকার ইবতেদায়ি মাদরাসা নিয়ে নতুন করে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিলে ওই চক্রটি হাফিজিয়া ও এতিমখানা যে জমিতে স্থাপিত সেই জমি দেখিয়ে তারা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপনের বা অবকাঠামো নির্মাণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে হাফিজিয়া মাদরাসার স্থলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা দেখিয়ে চক্রটি উৎকোচ নিয়ে পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। এর প্রধান শিক্ষক হলেন মো. শহীদুল্লাহ, সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী আফজাল হোসেন, জুনিয়র শিক্ষক নূরে তামজিদ, কানিজ ফাতেমা ও নাজমা আক্তার।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ময়নামতি সেনানিবাস এলকায় একটি মসজিদে ইমামতি এবং একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করি।’

উত্তর কালিকাপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠান থেকে গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে এবং চলতি বছরও ইবতেদায়ি পরীক্ষা দেবে।’

এ মাদরাসায় মোট কতজন শিক্ষার্থী জানতে চাইলে তিনি এর কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিক ভাই আপনি কোথায় আছেন আপনার সঙ্গে কাজগপত্র নিয়ে দেখা করব।’

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্ত রওশন আরা বেগম বলেন, কালিকাপুর উত্তর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার নামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কিনা তা তার জানা নেই। যেহেতু শিক্ষক নিয়োগ ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তাই আমরা তা খতিয়ে দেখব।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028998851776123