দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি ‘অর্থনীতি ও উন্নয়ন শিক্ষায় ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান এবং পেশাগত জীবনে নানামুখী সম্ভাবনা’ বিষয়ক একটি সংলাপ অনুষ্ঠান হয়েছে। এনএসইউ অর্থনীতি বিভাগের ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার ইয়াং ইকোনমিস্টস ফোরামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তা ছিলেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ রেডিংয়ের ভিজিটিং প্রফেসর এবং নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ।
বক্তব্যর শুরুতেই ডক্টর আসাদুল্লাহ বলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা সচরাচর অর্থনীতি বিষয়ক প্রচলিত চিন্তাধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পছন্দ করেন। আজ আমি তোমাদের বিশ্বস্বীকৃত কয়েকজন অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন গবেষকের শিক্ষা এবং পেশাগত জীবনের অর্জনের গল্প শুনিয়ে অর্থনীতি এবং এই বিষয়ে ডিগ্রীধারীদের কর্মসংস্থান সম্পর্কে প্রচলিত চিন্তা-ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই।’
অর্থনীতির গবেষণার ক্ষেত্রে ভেতরের গল্পকে আবিষ্কারের চেষ্টার গুরুত্বের পুনরুত্থানকে স্বীকৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, অর্থনীতির গবেষক হিসেবে আমরা বৈজ্ঞানিক প্রথাকে প্রাধান্য দেই, কিন্তু ভেতরের গল্পটাও খোঁজার চেষ্টা করি। পেশাগত জীবনে অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন গবেষক প্রায়শই একে অপরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।"
অর্থনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেয়ার সময় অধ্যাপক আসাদুল্লাহ তাদেরকে পাবলিক পলিসি এবং ডেটা সায়েন্সের মতো তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করার আহবান জানান। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি উদীয়মান ইউরোপীয় (যেমন- স্পেন, ইতালি, জার্মানি) এবং এশিয়ান (যেমন হংকং, সিঙ্গাপুর) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও বিবেচনা করার কথা বলেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে স্থায়ীভাবে কাজ করার বাইরেও অন্যান্য পেশা যেমন থিংকট্যাঙ্কের প্রশাসক, বেসরকারি খাতে অর্থনীতি সংক্রান্ত গবেষণা ও প্রশাসনিক নেতৃত্ব প্রদান কিংবা সমাজসেবক এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার কথা ভাবতে বলেন।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. আসাদ করিম খান প্রিয় বলেন, আমরা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নিয়াজ আসাদুল্লাহকে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিঃসন্দেহে আমাদের শিক্ষার্থীদের লেখা ও গবেষণার মান বৃদ্ধি, ক্যারিয়ারের অগ্রগতি এবং তরুণ অর্থনীতিবিদ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
প্রফেসর আসাদুল্লাহ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন এবং তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্রগুলো হল শিক্ষা, উন্নয়ন এবং শ্রম অর্থনীতি। একাডেমিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে আইডিয়াস রেপেক রাঙ্কিং অনুসারে তিনি এশিয়ার শীর্ষ ৩% অর্থনীতিবিদদের একজন।
পুরো মে মাস জুড়ে প্রফেসর আসাদুল্লাহ নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করবেন। এছাড়াও তিনি ‘সংকটকালীন সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের জন্য দিকনির্দেশনা শীর্ষক একটি গণবক্তৃতা প্রদান করবেন।