দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিবন্ধন ও এমপিওসহ বিভিন্ন বিষয়ে দালালি করে আসছিলো চক্রটি। অবশেষে মূল হোতাসহ ধরা পড়ে গত বৃহস্পতিবার। টাকার বিনিময়ে কাজ করিয়ে দেবে এমন চুক্তি করে দুইজন মোয়াক্কেলসহ এনটিআরসিএ অফিসে গিয়েছিলো দুইজন দালাল। মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে অফিসারের কক্ষে ঢোকার অবৈধ চেষ্টা করলে কর্তব্যরতা তা ঠেকিয়ে দেন। ধরা খাওয়ার পর দালালরা নিজেদের ইউটিউবার ও ভূইঁফোড় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রক্ষা পেতে চাইলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এনটিআরসিএ অফিসের কর্তব্যরতদের জেরার মুখে পড়ে দালালরা। তারা গলায় ইউটিউব ও ভুইফোঁড় পত্রিকার কার্ড ঝোলানো নিবন্ধন দালাদের কাছে জানতে চায় সাংবাদিকতা বিষয়ক নানা তথ্য। কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেনি দালালরা। অতপর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় তারা। ভবিষ্যতে আর দালালি করতে এনটিআরসিএ অফিসে যাবে না এই দালালচক্র। দেখামাত্রই পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৭ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন দালাল নানা তদবির নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আসছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের সঙ্গে বাগবিতন্ডায়ও জাড়াচ্ছেন।
এনটিআরসিএর সচিবের দপ্তরে কর্মরত মহিবুল অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তখন মাত্র ভাইভা শেষ হয়েছে। এক ব্যক্তি এসে সচিব স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চান। ভাইভা শেষে তখন সচিব স্যার দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাই আমি তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলি। এর কিছুক্ষণ পর তিনি এসে আমার ভিডিও ধারণ শুরু করেন। আমি তাকে জানাই, অফিসে ভিডিও ধারণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের অনুমতির প্রয়োজন। এ পর্যায়ে তিনি নিজেকে একটি প্রচারমাধ্যমের কর্মী বলে দাবি করে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। পরে উর্ধবতন স্যারদের নজরে আনা হয় বিষয়টি।
এনটিআরসিএর রিসিপশনে কর্মরতরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ সুপারিশ ও নিবন্ধনের ভাইভা পরীক্ষায় নানা তদবিরে ওই দালালরা আসছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, একজন সাংবাদিক পরিচয়ে এক কর্মচারীর সঙ্গে হম্বিতম্বি শুরু করেছিলেন। জেরার মুখে পালিয়েছে নামধারী ওই সাংবাদিক।