এনসিটিবির পাঁচ কর্মকর্তার অবৈধ পদোন্নতির ঘটনার তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিএনপি-জামায়াতপন্থী পাঁচ কর্মকর্তাকে অবৈধভাবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাদের পদোন্নতিতে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বোর্ডেরই অপর দুই কর্মকর্তা। আর অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্ত শুরু করেছে এনসিটিবি। অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে এসটিবির একাধিক সূত্র। বোর্ডের উপসচিব (প্রশাসন) শাহ ফিরোজ আল ফেরদৌসকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের কমিটিকে ১০ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

জানা গেছে, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, কস্টিং অফিসার মো. আব্দুর রশিদ, উপ উৎপাদন নিয়ন্ত্রক মাহমুদা খানম, উপ-বিতরণ নিয়ন্ত্রক বি এম জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ পদোন্নতি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বোর্ডের দুই কর্মকর্তা সুদর্শন বাছাড় ও সুজাউল আবেদীন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. রেজাউল ইসলাম বোর্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী সম্পাদক (ইংরেজি) পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি যোগদান করেন। বোর্ডের চাকরি প্রবিধানমালা অনুযায়ী সহকারী সম্পাদক থেকে অন্য কোন পদে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় রেজাউল ইসলাম বিগত বিএনপি-জামাত আমলে (২০০১-২০০৬) এনসিটিবি কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সহকারী সম্পাদক হতে এস্টেট অফিসার হিসেবে বদলিভিত্তিক পদায়ন নেন। পরবর্তীতে তিনি বদলি হওয়া পদকে মূল পদ ধরে বোর্ডের চাকুরী প্রবিধানমালা, ১৯৯১ লঙ্ঘন করে সহকারী সম্পাদক (ইংরেজি) থেকে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি নেন।

রেজাউল ইসলামের মতোই বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালে আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, মাহমুদা খানম, আব্দুর রশিদ সহকারী সম্পাদক হিসেবে প্রকল্পে অস্থায়ী নিয়োগ পান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিরাট অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৎকালীন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এরা সবাই অবৈধ পদোন্নতি বাগিয়েছেন। তাছাড়া বিএম জসিম উদ্দিনও এদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কম্পিউটার অপারেটর ব্লক পদ থেকে অবৈধ পদোন্নতি বাগিয়ে নেন। কয়েকদিন আগে অভিযুক্তদের মধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে বোর্ডের টাকা তছরুপ ও অদক্ষতার জন্য বিভাগীয় মামলায় তিরস্কার দণ্ড দেয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041141510009766