পাঠ্যবই সংশোধন কমিটিতে আলেম প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা। এ সময় দাবি পূরণ না হলে আগামী ৬ অক্টোবর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে কমিটি থেকে রাসুলকে কটূক্তিকারী আবু সাঈদ খানকে অপসারণ করার দাবিও জানান তারা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নানা জায়গার মতো শিক্ষা বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা দেখেছি ইসলাম শিক্ষা বই পরিমার্জনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে হাদিস অস্বীকারকারী এবং রাসুলকে (সা.) কটূক্তিকারী আবু সাঈদ খান নামক একজনকে। তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পা চাটা গোলাম। এমন একজন লোককে ইসলাম শিক্ষা বইয়ের সম্পাদনার দায়িত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মূলত বাংলাদেশের মুসলমানদের সঙ্গে তামাশা করছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমি এবং মুফতি ফরিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মুফতি হেমায়েত উল্লাহ কাসেমি।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল কারীম আবরার। আরো বক্তব্য দেন যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফি, মুফতি লুতফুর রহমান ফারায়েজি, মুফতি ইসমাঈল সিরাজি, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ কাশফি, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক, মাওলানা আবু মুহাম্মাদ রহমানি, মুফতি উমর ফারুক ইবরাহিমিসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি রেজাউল কারীম বলেন, অবিলম্বে আবু সাঈদ খানকে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে। তাকে কারা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে, তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আবু সাঈদ খানরা বই পরিমার্জন এবং সংশোধন করে ফেললে ছাপানোর পূর্বে ধর্ম মন্ত্রনালয় থেকে অবশ্যই রিভিউ করাতে হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।