এবারও ভর্তিচছুকদের না জানিয়ে আবেদন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কয়েকটি কলেজের বিরুদ্ধে। জালিয়াতির মাধ্যমে আবেদন করা ঠেকাতে এবার ভর্তিচ্ছুকদের অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংযোজনের বিধান করেছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কতিপয় স্কুল এন্ড কলেজের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল এন্ড কলেজগুলো নিজ প্রতিষ্ঠানের এসএসসি উর্ত্তীর্ণদের ধরে রাখতে ভর্তিচ্ছুকদের না জানিয়েই আবেদন করে দিচ্ছে। এছাড়া সি ক্যাটাগরির কয়েকটি কলেজও নানা কৌশলে এ অপকর্মটি করছে। একাধিক ভুক্তভোগী দৈনিক শিক্ষাকে টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে বলা হচ্ছে আপনার আবেদনটি করা হয়েছে। এমন তথ্য দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গেছেন ভর্তিচ্ছুকরা। পরে তারা বোর্ডে যোগাযোগ করলে ওই আবেদনগুলো বাতিল করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
রাজাধানীর উত্তরার আনোয়ারা মান্নাফ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, সেন্ট্রাল রোডের মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এবং মতিঝিল ও মিরপুরের কয়েকটি স্কুল এন্ড কলেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছুকরা। এছাড়া যেসব কলেজে গত বছর ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে এবং যাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা শূন্য তারাই এসব করছে বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ দৈনিক শিক্ষাকে জানান, শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে গিয়ে দেখছে তাদের আবেদন গ্রহণ হচ্ছে না। তারা বোর্ডে এসে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। বুয়েটের সাথে যোগাযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আবেদনের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। পরবর্তীতে বুয়েটের কাছ থেকে দায়ী কলেজগুলোর তালিকা সংগ্রহ করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে ঢাকা বোর্ড। কোন শিক্ষার্থীর নামে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভর্তির আবেদন করা হলে ঢাকা বোর্ডের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।