সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের পর এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর আব্দুস সাত্তার জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে দল থেকে তার পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছেন। তার বয়স হয়েছে। তাছাড়া আমার বাবা টানা ২৭ বছর জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। দলের সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন; কিন্তু গত নির্বাচনের পর থেকে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির কোনো ব্যাপারেই তাকে কোনোকিছু জিজ্ঞেস করা হয় না। তাই সম্মান থাকতে আমার বাবা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) ও বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
এরপর ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে এবং ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের দুটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে তাকে টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী করা হয়।