একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এবি ব্যাংকের ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এই ঋণ অনুমোদনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ওই ঋণ অনুমোদনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জনতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘খেলাপির তথ্য লুকিয়ে আরো বড় জালিয়াতি’ শীরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সিআইডিকে তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণারয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক এ প্রতিবেদককে বলেন, এই একই ব্যক্তি তথ্য গোপন করে আরো ৫টি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। তবে আমরা চেয়েছিলাম এ বিষয়ে এবি ব্যাংক ইন্টারনাল রিপোর্ট দেয়ার পর আদালত রুল দিক। এখানে এবি ব্যাংক একটা জবাব দিলে সেটি যাচাই করা যেত।
আদালতে আইনজীবী আহসানুল করিম, মাহবুব শফিক ও মইনুল ইসলাম রুল না দেয়ার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রাতে ঋণের টাকা তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন। সম্প্রতি একটি ভুয়া কোম্পানির অনুকূলে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক, যার সুবিধাভোগী সেই ব্যবসায়ী রতন। জালিয়াতির এই ঋণের তথ্য জানতে পেরে এরই মধ্যে তা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছে।