দেশের সব বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ।
রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। যাত্রা শুরুর পরপরই তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
পরে সংগঠনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন।
শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান বিন সোলায়মান বলেন, স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি। তার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চাই।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি বেতন-ভাতার আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে এ সংগঠনটি।
এমপিও বা মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারের তালিকাভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতনের একটি অংশ সরকার থেকে পান। এ জন্য প্রথমে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করা হয় এবং শর্ত পূরণের ভিত্তিতে সেই প্রতিষ্ঠানের যোগ্য শিক্ষকরা এমপিও তালিকায় আসেন।
নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার মান বিবেচনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার ফলের মতো কিছু শর্ত পূরণ করলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিওর আওতাভুক্ত করা হয়। গত বছর নতুন করে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে সরকার।
এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করা প্রায় ‘অসম্ভব’ দাবি করে শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ দবিরুল ইসলাম বলেন, শর্ত শিথিল করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছেন তারা। “এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছে। আগামী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আমরা সকল ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের এমপিও চাই।”