এমপিওভুক্তির বাছাই শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

নিজামুল হক |

স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য সাড়ে ৬ হাজার আবেদনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে শুরু হতে পারে। যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনেই তালিকা তৈরি হয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ওই তালিকা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সরকার থকে অর্থ প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করবে কতগুলো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে। সংসদীয় আসনভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে বলে সূত্র জানায়। গত ৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য সারা দেশের প্রায় ছয় হাজার ৪১২টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক আবেদন এসেছে। তার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকপর্যায়ের আবেদন রয়েছে।

অন্যদিকে, গত ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা এমপিওভুক্তির আবেদন কার্যক্রম। আগামি ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ প্রক্রিয়া। গত ২৬ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কারিগরি ও মাদরাসা এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এ ক্ষেত্রে এক প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক স্তরের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন এসেছে।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের অধ্যক্ষ মাহমুদন্নবি ডলার বলেন, আমরা নিয়ম মেনে আবেদন করেছি। তবে স্বীকৃতি পায়নি এমন প্রতিষ্ঠানও আবেদন করেছে। নতুন স্বীকৃতি পেয়েছে তারাও এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি- সরকার ১ হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তাই আমরা বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তা হলো বরাদ্দকৃত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে বর্তমান অর্থবছরেই (২০১৮-২০১৯) সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর আওতায় এনে আংশিক বেতন চালু করা যেতে পারে। পরবর্তী অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) আংশিক বেতন সমন্বয় করা যেতে পারে। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে এমপিওভুক্তির পর কমপক্ষে তিন বছর সময় প্রদান করতে হবে। এ সময়কালে সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে মন্ত্রণালয়।

গত ১৪ জুন জারি করা এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী চারটি সূচকের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতিতে ২৫ নম্বর (প্রতি দুই বছরের জন্য পাঁচ নম্বর। ১০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫ নম্বর)। শিক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর ২৫ নম্বর (কাম্য সংখ্যার জন্য ১৫ নম্বর। এরপর ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে পাঁচ নম্বর)। পরীক্ষার্থীর সংখ্যার জন্য ২৫ নম্বর (কাম্য সংখ্যার ক্ষেত্রে ১৫ ও পরবর্তী প্রতি ১০ জনের জন্য পাঁচ নম্বর)। পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য ২৫ নম্বরের (কাম্য হার অর্জনে ১৫ নম্বর ও পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশ পাসে পাঁচ নম্বর) গ্রেডিং করা হয়েছে। ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে এমপিওভুক্তি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

শিক্ষক সংগঠনগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে এমপিওবিহীন দেশের ৮ হাজার স্কুল ছিল, আর শিক্ষক ১ লাখ ২০ হাজার। কিন্তু আর্থিক সুবিধা না পাওয়ার কারণে গত ছয় বছরের মধ্যে ২ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।

 

সৌজন্যে: ইত্তেফাক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যৌন হয়রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি - dainik shiksha যৌন হয়রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি অভিযুক্ত শিক্ষা সাংবাদিকদের পক্ষে জোর তদবির - dainik shiksha অভিযুক্ত শিক্ষা সাংবাদিকদের পক্ষে জোর তদবির কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে যৌ*ন হয়*রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি - dainik shiksha যৌ*ন হয়*রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ - dainik shiksha বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030879974365234