এমপিওভুক্তি নয়, সরকারিকরণ চান পাটকল স্কুলগুলোর শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্ত করা হলে পুরো শিক্ষকতার জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে। বেতন কমে ৪ ভাগের এক ভাগ হয়ে যাবে। তাই সরকারিকরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজেএমসি) পরিচালিত পাটকলগুলোর ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনও রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা। ১৫ জুলাই এ আবেদন জমা দেন শিক্ষকরা। 

শিক্ষকরা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পিও-২৭ এর মাধ্যমে পাটকলগুলোকে সরকারিকরণ করেন। সে সময় থেকে পাটকলের স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা পাঠদান করে আসছেন। এসব স্কুলগুলোর বেতন বিজেএমসির ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের প্রবিধানমালা অনুযায়ী দেয়া হতো, যা সরকারি মাধ্যমিক (রাজস্বখাতভুক্ত) স্কুলগুলোর শিক্ষকদের প্রাপ্ত বেতন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার সমমান। তবে সম্প্রতি ২৫টি সরকারি পাটকলের ২৪ হাজার ৮৮৬ জন শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় দিয়েছে সরকার। পরবর্তী সময়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে মিলগুলো ফের চালু করা হবে বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এরপরই শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রশ্ন ওঠে পাটকল স্কুলগুলোর কি হবে?

গত ৩০ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বিজেএমসির আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ এবং ২টি নিম্নমাধ্যমিক ও ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করতে বলেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। যেখানে এমপিওভুক্তির জন্য বলা ২টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুশ্রেণি থেকে অষ্টম এবং ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুশ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। ঢাক, খুলনা, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলায় অবস্থিত এসব স্কুলে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ১৩২ জন শিক্ষক কর্মরত। 

এদিকে বিজেএমসির আওতাধীন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিভুক্ত করার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অত্যন্ত দুঃখজনক ও বৈষম্যমূলক।

বিজেএমসি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আজহারুল হক বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারিকরণ না করে এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৪ ভাগের ১ ভাগ হয়ে যাবে। কেউ ২৫ বছর কেউ ৩০ বছর শিক্ষকতা করছেন। এসবই বৃথা যাবে। এতে করে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়বেন তারা। ফলে এমপিওভুক্ত নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারিকরণ করার দাবি এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের।

পরিষদের সদস্য-সচিব মো. খবীর হোসেন জানান, সরকারের চাকরির নীতিমালায় প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারীকে বিনা অপরাধে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা হ্রাস করার বিধান নেই। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026898384094238