স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তি প্রতি বছরই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এখন থেকে প্রতি বছরই বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এর ফলে এমপিওভুক্তি নিয়ে আর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে হবে না। এমপিওভুক্তির বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সুপারিশসহ প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা সাপেক্ষে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

তবে, বাস্তবতা হল গতবছরের অক্টোবর মাসে নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করলেও কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির মানসিকতায় এমপিওর (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) টাকা হাতে পাননি কোনও শিক্ষক-কর্মচারী। একবার এমপিওভুক্ত করে আবার কাগজপত্র যাচাই এমনকি বাতিল করার নামে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষকদের। 

জানা যায়, এমপিওভুক্তির খাতে ৪২০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। এ অর্থ দিয়ে সংশোধিত নীতিমালার আওতায় যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থবছরই আরও যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হতে পারে।

সম্প্রতি বিভিন্ন সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রীকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অনুরোধ করেন। তারা বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান ভুলক্রমে বা ঘুষ দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে কমিটির সুপারিশক্রমে সংশোধিত নীতিমালার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, 'যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি বছরই এমপিওভুক্ত করা হবে। এমপিওর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবছরই আবেদন জমা দিতে হবে।'

তিনি বলেন, একই সঙ্গে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর এমপিও মান ধরে রাখতে না পারলে স্থগিত করা হবে।

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বছরে প্রতিটি ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্ত করতে লাগে ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে লাগে ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা এবং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাগে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

সর্বশেষ গত বছরের ২৩ অক্টোবর টানা সাড়ে ৯ বছর পরে সারাদেশের দুই হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে সরকারি বেতনের আওতায় আনা হয়। নতুন এই এমপিওভুক্তির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে মোট ৮৮১ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। এমপিওভুক্ত ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা বাবদ সরকার প্রতি বছর প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বছরে ব্যয় করে।

দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, কতিপয় কর্মকর্তার অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারনে এমপিওভুক্তির তালিকা ঘোষণা হলেও এমপিওর টাকা হাতে পাননি দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানের কেউ। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। আরো কত মাস দেরি হবে তা কেউ জানে না। 

এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮-এর ১৪ ধারা অনুযায়ী, চারটি মানদণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাচাই করা হয়। এগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানের বয়স বা সরকারি স্বীকৃতি (২৫ নম্বর), শিক্ষার্থীর সংখ্যা (২৫ নম্বর), পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা (২৫ নম্বর) এবং পাসের হার (২৫ নম্বর)। কমপক্ষে ৭০ নম্বর পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বলে সর্বশেষবার বিবেচিত হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004148006439209