জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ ঘোষণার পূর্বে একজন শিক্ষক বা কর্মচারী আট বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাকরি করার পর একটা টাইম স্কেল প্রাপ্য হতেন। কিন্তু জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ প্রাপ্তির পর থেকে টাইম স্কেল পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপরও সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১২ জুন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রণালয় “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮” জারি করে।
নীতিমালায় এ বিষয়ে কিছুটা পরিবর্তন করে শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে খুশি করার চেষ্টা করা হয়। আগে ছিল একটা এখন দেয়া হলো দু’টো টাইম স্কেল; কিন্তু পাওয়ার ব্যাপারটা রয়ে গেল অন্ধকারে। যদিও প্রজ্ঞাপনে লেখা ছিল “এ নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে”। কিন্তু দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ‘অবিলম্বে’ শব্দটার বাস্তবায়ন হয়নি আর কবে হবে তা কেউ জানেন না। তবে কিছুদিন পূর্বে শোনা গিয়েছিল এই বিষয়ে নীতিমালা পরিবর্তন করে টাইম স্কেলের স্থলে উচ্চতর স্কেল লিখে সংশোধন করা হবে। সেটিও ছয় মাসের অধিক হয়ে গেছে, আজও তা আলোর মুখ দেখেনি।
বর্তমান নীতিমালায় লেখা আছে, “১০ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্ণ হলে পরবর্তী উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তী ০৬ বছর পর একইভাবে পরবর্তী উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রাপ্য হবেন”। এ নীতিমালা অনুযায়ী কারো ১০+ থেকে ১৫/১৬ বছর পেরিয়ে গেছে এবং দ্বিতীয় গ্রেড প্রাপ্যদের বেলায়ও সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। তাহলে যারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের কী হবে? অনেক সময় পার হয়ে গেছে তারা কি তার বকেয়া প্রাপ্য হবে?
সকল আঞ্চলিক ও ডিজি অফিসে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানান।
সকল আঞ্চলিক অফিসে ভুক্তভোগী শিক্ষক মহোদয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা ও জেলা থেকে ফাইল আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে রিজেক্ট হয়ে যায়।
আঞ্চলিক অফিস জানায়, মন্ত্রণালয়ের সরকারি অনুমতি এখনো আসেনি। বিষয়টি অতীব জরুরি ও জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিধায়, সরকারের উচ্চ মহলের নজরে আনয়নের জন্যে সকল শিক্ষক নেতৃবৃন্দের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
এখন নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। তাহলে যারা আছে তাদের টাইম স্কেল/উচ্চতর স্কেল প্রদান না করে নতুন সমস্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। এটি সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে শিক্ষকরা মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী, শেখ হাসিনার সুচিন্তিত আদেশই শিক্ষকদের এই স্বপ্ন এবং অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশায় পথ চেয়ে আছেন কয়েক লাখ শিক্ষক।
লেখক: শিক্ষক।