এমপিওভুক্ত শিক্ষক যখন স্ট্যাম্প ভেন্ডর

মাদারীপুর প্রতিনিধি |

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাদারীপুরের ডাসার ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক মো. সেলিম রেজার বিরুদ্ধে স্ট্যাম্প ভেন্ডরের ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক সমাজ ও স্থানীয় সচেতন মহল। এদিকে ওই শিক্ষকের অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

এলাকাবাসী ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক সেলিম রেজা ডাসার থানা ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদ-ই-নুর মার্কেটে সেলিম রেজা টেকনিক্যাল ট্রেনিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘ দিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ওই শিক্ষকের নিজের নামে একই দোকানে ‘মো. সেলিম রেজা স্ট্যাম্প ভেন্ডর, লাইসেন্স নং-১৯/২০২২/২০২৩’ একটি স্ট্যাম্প ভেন্ডরের সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবৈধভাবে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কার্টিজ পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রয় করে আসছেন। এমন কি শিক্ষক সেলিম রেজা তার স্ট্যাম্প ভেন্ডরের লাইসেন্সের ব্যানার উপজেলা সদরের বিভিন্নস্থানে লাগিয়ে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষোভের সঙ্গে জানান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পিতার নামে ওই কলেজ। আর ওই কলেজের শিক্ষক হয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে সেলিম রেজা। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, আমি লাইসেন্স করে স্ট্যাম্প ভেন্ডরের ব্যবসা করে আসছি। এটা কেন অবৈধ হবে। যদি অবৈধ ব্যবসা হয়ে থাকে, তাহলে আগামীতে আমার নামে বাদ দিয়ে অন্য কারো নামে ব্যবসা করা হবে।

এ ব্যাপারে ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম বলেন, শিক্ষক সেলিম রেজা স্ট্যাম্প ভেন্ডরের ব্যবসা করে আসছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি সঠিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্র তাকে শোকজ করা হবে।

ডাসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কখনোও স্ট্যাম্প ভেন্ডরের লাইসেন্স করতে পারে না। শিক্ষক সেলিম রেজার বিষয়টি নিয়ে আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এ ব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কারিজ আফরোজ বলেন, শিক্ষক সেলিম রেজা তার নিজের নামে স্ট্যাম্প ভেন্ডরের লাইসেন্স তৈরি করে ব্যবসা করে আসছে, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লাখ - dainik shiksha বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লাখ স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন দীপু মনির ভাই টিপু - dainik shiksha স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন দীপু মনির ভাই টিপু বন্যার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাঠাবেন যেভাবে - dainik shiksha বন্যার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাঠাবেন যেভাবে ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, বাতিল চাই - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, বাতিল চাই দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025529861450195