২০১২ খ্রিষ্টাব্দের আগে বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ পাওয়া আরও ৬ শতাধিক আইসিটি শিক্ষক এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। তাদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও পুর্নবিবেচনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় তাদের পদ প্যাটার্নভুক্ত হলে সমন্বয় করে তাদের এমপিওভুক্ত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কর্মকর্তারা। তবে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ লাগবে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ১৯৯৮ থেকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের আগ পর্যন্ত কম্পিউটার বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এসব শিক্ষক। যদিও তাদের নিয়োগের সময় কম্পিউটার পদটি অনুমোদিত ছিলনা। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সারাদেশে ৬৬১ শিক্ষক রয়েছেন। তবে, নতুন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শাখা ও পদ সমন্বয় করে অনেকে ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
এসব শিক্ষকের নিয়োগ কিভাবে হয়েছে তা যাচাই বাছাই করে তাদের নিম্ন মাধ্যমিকে এমপিওভুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছিল। তথ্য সংগ্রহ করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসাথে পদ সমন্বয় করে এসব শিক্ষককেএমপিওভুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এসব শিক্ষকের মধ্যে এমপিওভুক্তি নিয়ে এমপিও পুর্নবিবেচনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় তাদের পদটি প্যাটার্নভুক্ত হলে পদ সমন্বয় করে এমপিওভুক্ত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তাদের পদটি যদি প্যাটার্নভুক্ত পদ হয়, তাহলে তাদের জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করা হবে। তবে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ লাগবে। আদেশ কামনা করে মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে, এমনটাই সুপারিশ করবে কমিটি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের আগে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৬১ জন আইসিটি শিক্ষক কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ১৪ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩ জন, রাজশাহী অঞ্চলে ২২১ জন, খুলনা অঞ্চলে ১৩২ জন, বরিশাল অঞ্চলে ১৯ জন, কুমিল্লা অঞ্চলে ৪ জন, রংপুর অঞ্চলে ২০৭ জন এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৬১ জন আইসিটি শিক্ষক ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের আগে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন। তবে, সিলেট অঞ্চলে এ রকম একজন শিক্ষকও নেই।