দুই হাজার সাতশ ত্রিশ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণভবনে এ তালিকা ঘোষণা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সব যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হলো তাদের এই যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে।’ সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি। এমপিও নামে পরিচিত মান্থলি পে অর্ডার তালিকাভুক্ত হওয়া মানে প্রতিমাসে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাওয়া। তবে, এর জন্য এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পেতে হবে।
এর আগে গতকাল ২২ অক্টোবর, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য ক্রস চেক করা হয়েছে। তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও কিছু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারও পাঠানো হয়েছে। সব সঠিকতা যাচাই করেই এমপিওভুক্তির ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। তবে একটু দেরি হলেও জুলাই মাস থেকেই এই এমপিওভুক্তি কার্যকর হবে। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা অনুযায়ী তাদের মান ধরে রাখতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান এতে ব্যর্থ হলে তাদের এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হবে। পুনরায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে আবারও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। এমপিও পেয়ে গেছে ভেবে হাল ছেড়ে দিলে তারা বিপদে পড়বে।
যোগ্য নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কিছু উপজেলা রয়েছে, যেখান থেকে কোনো আবেদনই পাওয়া যায়নি। আবার নারী শিক্ষা, পাহাড়ি অঞ্চলসহ অনগ্রসর এলাকা বিবেচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে খুবই কম উপজেলা আছে, যেখান থেকে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন:
শিক্ষক নিয়োগ: দ্বিতীয় ধাপের সুপরিশের তালিকা প্রস্তুত
এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি করলে কী হয়?
এমপিও মানে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার। প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুল-কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার সময় তারা এই মর্মে মুচলেকা দেন যে তারা নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালাবেন। কখনও সরকারের কাছে বেতন ভাতা চাইবেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠার কয়েকবছরের মধ্যেই এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। এবং সময় সময় এমপিওর দাবিতে আমরণ অনশনের মতো কঠিন কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমপিওভুক্ত হলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। একজন সরকারি শিক্ষকের মূল বেতন স্কেলের সমপরিমান ও তার সাথে কিছু বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পান এমপিওভুক্তরা। এছাড়া বৈশাখী ভাতা ও পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।