এমপিওর টাকা তুলতে পারেননি ডুমুরিয়ার মাদরাসা শিক্ষকরা

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি |

নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনো এমপিও বা বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা তুলতে পারেননি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে নানা সংকট ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। শিক্ষকরা বলছেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তারা টাকা পাচ্ছেন না। অপর দিকে শিক্ষকদের এমপিওর টাকা আসা রূপালী ব্যাংকের সদন শাখা কর্তৃপক্ষ বলছে, ফান্ড পেতে দেরি হওয়ায় শিক্ষকদের এমপিওর টাকা দিতে বিলম্ব হচ্ছে।

গত ৪ জানুয়ারি এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের ডিসেম্বর মাসের এমপিওর চেক ছাড় হয়। গত ৮ জানুয়ারির পর থেকে বেতন ভাতার সরকারি অংশের টাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা তুলতে পারবেন বলে জানিয়েছিলো মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ডুমুরিয়া উপজেলার অধিকাংশ স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা রূপালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে আসে।

শিক্ষকরা বলছেন, বেতন ৮ জানুয়ারি থেকে এমপিওর টাকা তোলা যাবে বলে জানানো হলেও অবহেলা করে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা দেয়নি ব্যংক কর্তৃপক্ষ। 

ডুমুরিয়ার আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক শিবেন্দু মন্ডল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসার বিল জমা হয়েছে গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) অথচ একসপ্তাহ অতিবাহিত হলেও শিক্ষক কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়নি। এখন পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে টাকা পোস্টিং দেননি। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা তুলতে না পারায় শিক্ষক কর্মচারীদের নানা সংকটে পড়তে হচ্ছে।

থুকড়া ইসলামীয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল হান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রূপালী ব্যাংকের সদন শাখা থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা তুলতে হয়। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবহেলার পরিচয় দেন। এতে শিক্ষক কর্মচারীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

রানাই মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মোস্তফা কামাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সোনালী ব্যাংক থেকে আমরা বেতন ভাতা উত্তোলন করি। তারা নির্দিষ্ট সময়েই টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা সদন শাখার সেকেন্ড অফিসার আদিত্য কুমার মন্ডল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ম্যানেজার সাহেব ঢাকায় রয়েছেন। শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়েছে, তবে কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে তা জমা হওয়া বাকি আছে। ফান্ড পেতে দেরি হয়েছে। রোববার আশা করছি বাকিগুলো জমা হয়ে যাবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি কলেজ কমিটির সভাপতির যোগ্যতা এইচএসসি, গেজেট জারি - dainik shiksha কলেজ কমিটির সভাপতির যোগ্যতা এইচএসসি, গেজেট জারি নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক মাদরাসা শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha মাদরাসা শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মদ্যপ অবস্থায় আটক শিক্ষক বরখাস্ত - dainik shiksha মদ্যপ অবস্থায় আটক শিক্ষক বরখাস্ত দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সনদ জালিয়াতিতে শনাক্ত আরো কয়েকজন নজরদারিতে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে শনাক্ত আরো কয়েকজন নজরদারিতে শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক চাই না - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক চাই না please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024139881134033