ভুয়া ননড্রয়াল সনদ জমা দিয়ে এমপিওভুক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এতথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও রাজশাহী অঞ্চলের একজন মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে তদবির করে আসছিলেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু এবার আর রেহাই নেই।
জানা যায়, এর আগে এমপিও জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমদাদুল হকের এমপিও বাতিল করতে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সবুজ আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা নিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইমদাদুল হক ভুয়া ব্যাংক নন-ড্রয়াল সনদ দাখিল করে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
জনবল কাঠামো নির্দেশিকা অনুযায়ী মো: ইমদাদুল হকের বেতন ভাতার সরকারি অংশ সাময়িকভাবে স্থগিত করে কেন তা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে। মো: ইমদাদুল হক কর্তৃক এ যাবত গৃহীত অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রয়োজনে পিডিআর ১৯৯৩ আইনে মামলা দায়ের করে এ অর্থ আদায় করতে হবে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।