বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনীর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মাদারাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদ। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনীর দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব মোঃ জহির উদ্দিন হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন নীতিমালায় মাদরাসায় কর্মরত জেনারেল (নন অ্যারাবিক) শিক্ষকদের শতভাগ বঞ্চিত করা হয়েছে। এই নীতিমালায় কামিল/ফাজিল/আলিম/দাখিল মাদরাসা প্রশাসনিক (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, সহসুপার) পদে আরবি বিষয়সমূহে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা চেয়ে জেনারেল (নন অ্যারাবিক) শিক্ষকদের প্রশাসনিক পদ বঞ্চিত করা হয়েছে। সহকারী অধ্যাপক/ প্রভাষকদের বঞ্চিত করে দাখিল মাদরাসা সুপার ও সহসুপারকে আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সুযোগ রেখে বিতর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫:২ অনুপাত প্রথা বাতিল করে এমপিওভুক্ত প্রভাষকদের এমপিওভুক্তির ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্তিতে ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডে বেতন- ভাতার সরকারি অংশ প্রদান ও পরবর্তী ৬ বছর পুর্তিতে সকল সিনিয়র প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতিসহ সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জারি করা পরিপত্রের প্রশাসনিক পদ (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, সহসুপার), গ্রন্থাগারিক ও সহকারী- গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা মোতাবেক জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনের জোর দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
সারা দেশে স্কুল- কলেজ জাতীয়করণ হলেও এখন পর্যন্ত একটি মাদরাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। স্কুল-কলেজের আনুপাতিক হারে মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও সম্মানজনক বাড়িভাড়া প্রদানে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ, ফজলুল বারী বেলাল, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব শান্ত ইসলাম, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন, অর্থসম্পাদক খোরশেদ কবির মাসুদ, দপ্তরসম্পাদক মেহেদী হাসান সরকার, কার্যকরী সদস্য নেকবর হোসেন, কে.এম শামিম প্রমুখ।