এমপিও শিক্ষকদের উৎসবভাতা-বেতন আসছে সপ্তাহে

প্রতিবেদক. দৈনিক আমাদের বার্তা |

এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এবারো খণ্ডিত উৎসব ভাতাই পাচ্ছেন। আগের নিয়মেই শিক্ষকরা মূল বেতন স্কেলের ২৫ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে ঈদ উৎসব ভাতা পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, সরকারি হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকরা ঈদের আগে শুধু উৎসব ভাতা পাবেন। এপ্রিলের বেতন পাবেন ঈদের পর। গত কয়েকবছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছে আসছেন। 

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসছে সপ্তাহের শুরুতেই এপ্রিল মাসের বেতন ও উৎসব ভাতার চেক ছাড় হতে পারে। গত তিনদিনে তিনটি অধিদপ্তর থেকে আগের নিয়মেই উৎসব ভাতার চেক ছাড় করতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে ফাইলগুলো সচিবদের টেবিলে ছিলো। সচিবদের সই হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সই হলে সরকারি আদেশ বা জিও জারি হবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ও এপ্রিলের বেতনের প্রস্তাব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বা রোববার জিও জারি হবে বলে জেনেছি। জিও পেলে চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে।

এদিকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, মাদরাসা শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতার চেক ছাড়ের প্রস্তাব কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের পাঠানো হয়েছে। জিও জারি হলে শিক্ষকদের উৎসব ভাতার চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী সপ্তাহে মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতার চেক ছাড় হতে পারে। 

এদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার সহকারী পরিচালক বিমল কুমার মিশ্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আগের হিসেবেই উৎসবভাতার প্রস্তাব আমরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের পাঠিয়েছি। জিও পেলে চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জানান, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে  প্রথমবারে মতো উৎসব-ভাতা পাওয়া শুরু করেন তারা। সে সময়ে শিক্ষকদের বেতনের সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা দেয়া শুরু হয়। সেই থেকে অদ্যাবধি  এ হারেই তারা উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।  

২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে একজন সরকারি শিক্ষকের মূল বেতনের ৯০ শতাংশ সমপরিমান বেতন এমপিওভুক্ত শিক্ষককে দেয়া হতো। পরে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে শর্তসাপেক্ষে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের শতভাগই সরকার থেকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই থেকে, অর্থাৎ ১৯ বছর ধরে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে দুই ঈদে দুটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন। এর বাইরে বৈশখী ভাতা পান। যেটা চালু হয়েছে চার বছর আগে।  

বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান উৎসব-ভাতা বৈষম্য অবশ্যই নিরসন করতে হবে। এ ছাড়া সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেসব মৌলিক বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসনের ব্যবস্থা নিতে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষামন্ত্রীদের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য দূর হয়নি।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026781558990479