এসএসসিতে ফেল করে স্কুল তালা দিল শিক্ষার্থীরা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি |

চলতি বছরের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ফেল করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়েছে ১৭ শিক্ষার্থী। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিচারের দাবি তুলেছে।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, টাকা না পেয়ে প্রধান শিক্ষক ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে না পাঠানোর ফলে তারা ফেল করেছেন।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ অফিস ও ক্লাশ রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় ১৭ পরীক্ষার্থী।

ইতোপূর্বে ওই শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন দিয়ে কোনো ফল না পেয়ে ২ জুন অভিভাবক ও এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পুরুলিয়া বাজারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনও হয়েছে।

সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ অফিস ও ক্লাশ রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে তারা বিদ্যালয়ের বারান্দায় সারিবদ্ধভাবে বসে রয়েছেন।

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ওই বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ১৭ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ৬ মে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর ওই ১৭ জন শিক্ষার্থী জানতে পারেন তারা অকৃতকার্য হয়েছেন।

পরে খোঁজখবর নিয়ে তারা জানতে পারেন, ব্যবহারিক বিষয়ে তাদের নম্বর বোর্ডে জমা দেয়া হয়নি। এ কারণেই ওই ১৭ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ওই অযোগ্য ও অর্থলোভী প্রধান শিক্ষকের বিচার এবং বহিষ্কারের দাবি জানান।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জারজিস ইসলাম ও ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নুর আলম স্যার টাকা চেয়ে না পেয়ে ইচ্ছে করেই ব্যবহারিক বিষয়ের নম্বর বোর্ডে পাঠাননি। যার কারণে আমরা সবাই ফেল করেছি। তারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জারজিস ইসলাম ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে পাঠানোর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে পাঠানো বিষয়ে কিছু ত্রুটি আছে।

পরবর্তীকালে বোর্ডের পরামর্শে ব্যবহারিক নম্বর পাঠিয়েও রেজাল্ট আসেনি। এ বিষয়ে বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে আবারও কথা হয়েছে। আশা করছি রেজাল্ট ২-১ দিনের মধ্যেই আসবে। তারা ফলাফল না পেয়ে স্কুলে তালা দিয়েছে। সে বিষয়ে কাউকে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। ফলাফল চলে আসবে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022940635681152