চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কিনা করোনা পরিস্থিতি দেখে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন ও ৮৪ দিনের সিলেবাস করেছি সেগুলো ওপর অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো। আরও কিছু দিন হয়তো দেখতে হবে। যদি দেখি না একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না,.....বিকল্প অনেকগুলো পদ্ধতি নিয়ে আমরা ভাবছি। আমরা কি কি পরিস্থিতি হতে পারে তা বিবেচনায় কি কি বিকল্প কিভাবে মূল্যায়ন হতে পারে সেগুলো নিয়েও আমরা ভাবছি।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা পড়ালেখা ছেড়ে দেবেন না। যদি পরীক্ষা নাও হয় এ পড়াগুলো আপনাদের পরবর্তী ক্লাসের পড়া বোঝার জন্য আজকের পড়াটি আপনার কাজে আসবে।
পরীক্ষা যদি না হয় বিকল্প কি চিন্তা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অনেক রকম চিন্তা আছে। এ মুহুর্তে বলে দিতে পারছি না পরীক্ষা হবে কি হবে না। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের এ সিদ্ধান্তটি নিতে হবে। সেটা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু যেটাইহোক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ মাথায় রেখে আমাদের সিদ্ধান্তটি নিতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে দূরে না সরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। আর অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি অনুরোধ জানান সন্তান যাতে মাদক বা ক্ষতিকর কোন ইন্টারনেটভিত্তিক গেমের মাধ্যমে প্রবাভিত না হয় সে দিকে নজর রাখতে।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও টিকা আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের পর সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে, ইনশাল্লাহ।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
কবে স্কুল খোলা হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কি করে বলবো সেটা বলেন। আমরা খুব চেষ্টা করছিলাম ১৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিদিনই পরিবর্তন হচ্ছে। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মত একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন তো সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
এর আগে গতকাল রোববার (১৩ জুন) চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
দীপু মনি আরও বলেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার। এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি। কিন্তু এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কিনা, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা থাকলে- তার সবকিছু নিয়েই কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান।
ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।
চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।