এসএসসি পরীক্ষার কক্ষে সিসি ক্যামেরা, ক্ষুব্ধ শিক্ষক-অভিভাবক

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি |

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র ও কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। তবে এ পদক্ষেপে শঙ্কিত ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার কতিপয় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক। তাদের দাবি পরীক্ষা কক্ষে ক্যামেরায় পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ এতে বাধাগ্রস্ত হবে। 

৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা নকল মুক্ত রাখতে খোকসা উপজেলার তিন কেন্দ্র ও দুটি উপকেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে প্রায় শতাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের গোপনীয় শাখাসহ এসএসসি কেন্দ্রে ৩২টি কক্ষ ও খোকসা জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় এসএসসি উপকেন্দ্রের ১২টি কক্ষের সবগুলোই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি কেন্দ্র ১৬টি ও শোমসপুর বালিকা বিদ্যালয় ভেনুতে ৭টি কক্ষের ৫টি ও সদর উদ্দিন খান দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ১০টি সিসি ক্যামের লাগানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। একটি ভকেশনাল শাখাসহ এসব কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। 

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় জেলার সবকটি কেন্দ্র ও হলসমূহে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহম্মদ আলীসহ একাধিক কেন্দ্র সচিব জানান। সেই সিদ্ধান্তের আলোকেই প্রতিটি কেন্দ্র ও ভেনু বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি কেন্দ্র সচিবের কক্ষে মনিটর লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে মনিটরিং করা হবে।

হঠাৎ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় শঙ্কিত হয়ে পরেছে পরীক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষকরা। তারা মনে করছেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনিটরিং ভীতি কাজ করবে। ফলে ফলাফল বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

ধোকরাকোল কলেজের দুইজন প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর কাছে সিসি ক্যামেরা ভয়ের ব্যাপার। অনেকেই এই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত নয়। পরীক্ষা কক্ষে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার হতে পারে। এ ছাড়া ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের কথা মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় গভীর হবে। এতে করে রেজাল্ট খারাপ হতে পারে। 

‘ওরা (পরীক্ষার্থীরা) বুঝতেই পারবে না, কোথায় ক্যামেরা আছে।’ ভয়-ভীতিতো দূরের কথা। এমনভাবেই মন্তব্য করলেন খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন জেলার নির্দেশ পালন করছেন। 

সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মনে করছেন, এই পদ্ধতিতে কেন্দ্র পরিদর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। এ ছাড়া ভালো পরীক্ষার্থীদের দুর্বল পরীক্ষার্থীরা নানাভাবে সমস্যায় ফেলে। ক্যামেরার ভয়ে এটা করার সাহস পাবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028541088104248