প্রতিবছরেরও মতো এবারের ঈদুল আজহায়ও বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। তবে, এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন। ঈদের আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতার টাকা ছাড় করতে চাচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন। গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। এরপর থেকেই শিক্ষকরা মূল বেতনে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি শিক্ষকদের মতো চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়া দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) ছাড়াও শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা পান। তবে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল প্রতিষ্ঠানই শুধু এই বেতন দিতে পারে। ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটা বড় অংশই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের মতো মূল বেতনের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সে দাবিতে সরকারের সায় মেলেনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালক গতকাল সোমবার বিকেলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, আগের নিয়মেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেয়া হবে। শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন। এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জিওর (সরকারি আদেশ) অপেক্ষায় আছি। জিও পেলে শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতার চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। শিগগিরই স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পাবেন।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সোমবার বিকেলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এবারও মাদরাসা শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। যতদূর শুনেছি, শিক্ষকদের বেতনভাতার জিওর (সরকারি আদেশ) ফাইল মন্ত্রী মহোদয়ের দপ্তরে আছে। তিনি অনুমোদন দিলে আমরা চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু করবো।
ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা। তিনি সোমবার বিকেলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা চেক ছাড়ের জন্য এজি অফিসে পাঠিয়েছি। আগের নিয়মেই শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। এজি অফিসের কাজ শেষ হলে মঙ্গলবার বা বুধবার আমরা শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতার চেক ব্যাংকে পাঠাবো বলে আশা করছি।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।