ঝালকাঠিতে প্রতিদিন ওএমএসের পণ্য পাওয়ার লাইন বেড়েই চলেছে। চাল আর আটা পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অনেককে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। আর মানুষের দীর্ঘ লাইনে হুড়োহুড়ি তো আছেই। বরাদ্দ কমে যাওয়ায় এমন হিমশিম অবস্থা বলে জানালেন কর্তৃপক্ষ।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় পাঁচ কেজি করে চাল আর আটা দেয়া শুরু হয় সকাল ১০টায়। সরেজমিনে কয়েকটি ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর ৭টা থেকে শুরু হয় লাইনে দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামের চাল আর ১৮ টাকা দরের আটা কিনতে ডিলার পয়েন্টে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
জেলা সদরের পৌর এলাকায় পাঁচটি, নলছিটি পৌরসভায় তিনটি এবং জেলার অন্য দুই উপজেলায় দুইটি করে মোট ১২ জন ডিলার প্রতিদিন ১২ টন চাল বরাদ্দ পান। আর আটা বরাদ্দ কেবল জেলা শহরের জন্য প্রতিদিন পাঁচটন করে। তবে এ বরাদ্দে কিনতে আসা মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। ফলে প্রতিদিনই খালি হাতে ফিরে যেতে হয় অনেককে। ডিলার পয়েন্টগুলোতে অসন্তোষ তাই প্রতিদিনের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর সংসারের আয় কমে যাওয়ায় এই কষ্টকর পরিস্থিতি সহ্য করেই দূর-দূরান্ত থেকে এসে লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান এখানে আসা নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
ডিলাররা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ দীর্ঘ ভিড় সমালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তবে খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা লাঘবে বরাদ্দ ও ডিলার পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। মাসে ২২ দিন করে জেলায় মোট ৫২ হাজার ৮০০ জন চাল আর ২২ হাজার মানুষ খোলা বাজারে আটা কেনার এ সুযোগ পাচ্ছেন।