ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ এনে বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ আবেদন জমা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা) আসনের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল। তাই সবগুলো ভোটকেন্দ্রের ফলাফল সংগ্রহ করেছি। কিছু কেন্দ্রে প্রায় সব প্রার্থী অস্বাভাবিক ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্রগুলো উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেছি। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তবে কবে আবার ভোট গণনা করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি। যদি তারা সাড়া না দেন আমি হাইকোর্টে যাব।
বিএনপি হিরো আলমের পক্ষে কাজ করেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপি আমার পক্ষে কাজ করলে ভোটের দিন তারা মাঠেই থাকত। বিএনপির কোনো লোক আমার সঙ্গে ছিল না। এসব কিছু লোকের বানানো কথা। শুধু মির্জা ফখরুল স্যার নয় সারাবিশ্ব ও বাংলাদেশ আমার পক্ষে কথা বলেছে।
হিরো আলম বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল স্যার বলেছেন, হিরো আলম জিরো হয়ে গেছে। তিনি আমাকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। তবে একজন মন্ত্রী দেশের কোনো নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন ‘আসুন খেলা হবে’। শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে চান।
আমি ওবায়দুল স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সঙ্গে করতে হবে না, আমি হিরো আলমের সাথে একটা নির্বাচনে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াব আর আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কি না। খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পান না। আমার সঙ্গে একটু প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন। উনি কেন আমাকে ছোট করে কথা বলেন। ওনাকে বলব বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) থেকে ভোট করুন। আমাকে যে আসনে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হিরো আলম আরও বলেন, আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদ প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। এরপরই হিরো আলম অভিযোগ করেন এই আসনে ভোট সুষ্ঠু হলেও গণনার সময় ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।