ওবায়দুল কাদের পদের জন্য বাপের সম্মানও রাখে না : কাদের মির্জা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

‘আমি আরও এক মাস-দেড় মাস আগে জেলে যাওয়ার জন্য কাপড়চোপড়, ওষুধপত্র থেকে সবকিছু যেখানে থাকি, সেখানে এনে রেখেছি। সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। গুলি খাওয়ার জন্যও মানসিকভাবে প্রস্তুত। আমি কাউকে ভয় করি না। আমি যত দিন বেঁচে আছি, সাহস করে সত্য কথা বলব।’

 শনিবার বেলা দুইটার দিকে আবারও ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভটি করা হয়। লাইভটি কাদের মির্জার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ট্যাগ করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জে বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে আসতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন আবদুল কাদের মির্জা। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে আবদুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে পাগলাগারদে পাঠানোর দাবি জানায়।

শনিবার ফেসবুক লাইভে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করেন ছোট ভাই কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের তাঁর পদপদবির জন্য বাপের (বাবার) সম্মানের প্রতিও তাকান না। আমার নানার বিরুদ্ধেও এঁরা ষড়যন্ত্র করেছেন, যিনি অনেক বছর এমএলএ ছিলেন, চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে নাছের চৌধুরী, খিজির হায়াতের পরিবার চক্রান্ত করেছে।’

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে একরাম-নিজাম, ইশরাতুন্নেসা কাদের (ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী) সন্ত্রাসীদের ইন্ধন জুগিয়ে প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় এখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমি বুঝেছি, আমি আজকে কেন সত্য কথা বললাম, কেন অপরাজনীতি, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে বললাম, আজকে বাংলাদেশে যে লুটপাটের রাজনীতি চলছে, এর বিরুদ্ধে আমি কেন সোচ্চার হয়েছি। আমার কর্মীরা সারা দিন দুই বেলা খেতে পারে না, আর একজন মন্ত্রীর সাধারণ সহকারী আমেরিকার লংআইল্যান্ডে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বাড়ি করে।’

সেতুমন্ত্রীর ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার অপরাধ, আমি সত্য কথা বলছি। উনারা যদি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, আমাকে গুলি করে মেরে ফালায়, কী করার আছে। আল্লাহ উনাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছে। ক্ষমতা আল্লাহ দেয়, আবার নিয়েও যায়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, জনগণের হৃদয়ের কথা শুনুন, জানুন। যে যেখানে আছে জানুন।’ কাদের মির্জা বলেন, ‘বিএনপির বাবরের বাসায় পাঁচ-সাত হাজার শার্ট পাওয়া গেছে। এখনো অনেকের বাসায় খুঁজলে পাঁচ-সাত হাজার পিস শার্ট পাওয়া যাবে। অথচ একটা গরিব ২০০ টাকা দিয়ে কাপড় কিনতে পারে না। এটা চলছে এই দেশে।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে যারা এখানে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা সবাই অপশক্তি। এরা একেকটা মাদকের সাথে জড়িত, চাকরি–বাণিজ্যের সাথে, ভূমি কুক্ষিগত করেছে, বদির আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে মাদক এনে এখানে ব্যবসা করে। আমার আব্বাকে রাজাকার বলে স্কুল থেকে বের করে দিছে, আমার আব্বা কি রাজাকার? কেউ যদি বলতে পারে আমার আব্বা রাজাকার, আমরা হিজরত করব।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024919509887695