ওমিক্রন বাড়লেও স্কুল বন্ধের চিন্তা সবার শেষে : ইউনিসেফ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এতে শিশুদের শিক্ষাজীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজে প্রভাব পড়েছে তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবারের ওপরও। এ অবস্থায় আরেক দফা স্কুল বন্ধ হওয়া সর্বনাশা হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের জেরে সারা বিশ্বে সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। নতুন উদ্বেগজনক এই ধরনটিকে বুঝতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। অনিশ্চয়তা বাড়তে থাকায় অনেক সরকারই স্কুল খোলা রাখা হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করছে। এ অবস্থায় একটি জিনিস আমরা নিশ্চিতভাবে জানি: ব্যাপকভাবে স্কুল বন্ধের আরেকটি ঢেউ শিশুদের জন্য সর্বনাশা হবে। 

তার কথায়, প্রমাণ স্পষ্ট: দীর্ঘায়িত, দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ; ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের জন্য সীমিত সম্পদ; দূরবর্তী শিক্ষার সুযোগের অভাব শিক্ষাখাতে কয়েক দশকের অগ্রগতি মুছে দিয়েছে। শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও মানসিক সমস্যাগুলো ছায়া মহামারির রূপ ধারণ করেছে।

হেনরিয়েটা ফোর বলেন, শিক্ষার সুযোগ হারানো ছাড়াও শিশুরা স্কুলের নিরাপত্তা, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন সশরীরে যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং অনেক ক্ষেত্রে দিনের একমাত্র পুষ্টিকর খাবারও হারিয়েছে।

করোনাকালে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, আর্থিকমূল্য বিচার করলে তার পরিমাণ সম্মিলিতভাবে ১৭ লাখ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এই অর্থ তারা সারাজীবনে আয় করতে পারতো বলে উল্লেখ করেছেন ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা। এ কারণেই যতদিন সম্ভব দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ করা ঠেকিয়ে রাখা উচিত। তার কথায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে ও কঠোর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়লে স্কুলগুলো অবশ্যই সবার শেষে বন্ধ এবং ফের সবার আগে খুলতে হবে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাটি বলছে, আমরা জানি, স্কুলে সংক্রমণ প্রশমন ব্যবস্থাগুলো কাজ করে। তাই স্কুল খোলা রাখতে আমাদের যথাসাধ্য এই জ্ঞান ব্যবহার করতে হবে। কোনো শিশু যেন পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই ডিজিটাল সংযোগে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ২০২২ আরেকটি বাধাগ্রস্ত শিক্ষাবছর হতে পারে না। এটি এমন হওয়া দরকার, যেখানে শিক্ষা এবং শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024049282073975