দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গোছানোর কাজ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আলেমদের নির্বাচনে কাজে লাগাতে বিতর্কিত ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিলো দলটি।
আজ শনিবারের সংগঠনটির প্রথম সম্মেলনের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি দেয় আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিলো তারা (ওলামা লীগ) সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। সময় লেগেছে তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশের এই সম্মেলন।’
ওলামা লীগ কি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হবে না কি সমমনা হবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নেত্রীই (শেখ হাসিনা) ঠিক করবেন।’
ওলামা লীগের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের আদর্শ মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘এত দিন ওলামা লীগ বিভিন্ন ধারায় চলেছে। বিতর্কিতভাবে চলেছে। বিরোধী কথা বার্তা বলা যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার যে কথা বলবে তার সঙ্গে মিলিয়ে আপনাদের কথা বলতে হবে। বিরোধ করা যাবে না।’
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন পরিচালনা করেন আবদুস সোবহান গোলাপ। সেখানে ২০ জন সভাপতি ও ৩১ জন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। প্রার্থীরা ঐকমত্য না হয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষমতা দেন।