কতজন ওয়াগনার ভাড়াটে সেনা তাদের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে অনুসরণ করে বেলারুশে যাবেন তা এখনই বলা কঠিন। কিন্তু যদি পর্যাপ্ত সংখ্যায় যায়, তবে তা কেবল বেলারুশিয়ান নাগরিকদের জন্যই নয়, প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড এবং সম্ভবত ইউক্রেনের জন্যও উদ্বেগের বিষয় হবে।
বেলারুশের দীর্ঘদিনের কর্তৃত্বপরায়ণ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মঙ্গলবার বলেছেন, ওয়াগনার কমান্ডাররা সাহায্যের প্রস্তাব দিলে বেলারুশের সামরিক বাহিনী তা গ্রহণ করবে। এবং তারা যদি একটি ঘাঁটি চায় সেটাও প্রস্তুত আছে; তাঁবু লাগান, আমরা যেভাবে পারি সহায়তা করব।
লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কেস্টুটিস বুড্রিস সতর্ক করে বলেছেন, যদি ওয়াগনার বাহিনী বেলারুশের সাথে তার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করে, তবে নাশকতা এবং অনুপ্রবেশমূলক অভিযানের ঝুঁকি রয়েছে। বেলারুশকে অপরাধমূলক উপাদান আশ্রয় দেওয়ার জন্য দায়ী করা হবে।
পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা বলেছেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক সংকেত। ওয়ারশ তার মিত্রদের সাথে জোরালোভাবে সহায়তা বাড়াবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো জানান, ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে পৌঁছেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াগনারপ্রধানকে যে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমি দেখছি, প্রিগোজিন এই উড়োজাহাজে রয়েছেন। হ্যাঁ, তিনি আজ বেলারুশে এসেছেন।’
ওয়াগনার বাহিনীর খরচে প্রিগোজিন বেলারুশে থাকবেন বলে জানান লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, ওয়াগনারের যোদ্ধাদের জন্য কোনো ক্যাম্প নির্মাণ করছে না বেলারুশ। তবে তারা যদি চান, তাহলে বেলারুশে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র: বিবিসি