বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর’ করেছে ওয়ালটন। দুই বছরের জন্য তরুণ এ ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী দেশের শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠান। শনিবার (১২ জানুয়ারি, ২০১৯) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়ালটনের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম।
এর আগে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে দুই বছরের জন্য ওয়ালটনের ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছিলেন মিরাজ। এবার স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে মিরাজকে চুক্তিবদ্ধ করলো ওয়ালটন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, অপারেটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান চিত্রনায়ক আমিন খান, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ, পাওয়ার প্লে কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুর রহমান পলাশ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মেহেদি মিরাজকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এসএম মাহবুবুল আলম। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে ক্রিকেট। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে মিরাজের মতো উদীয়মান তারকারা। মিরাজ অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার,দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রিকেট তারকা। অন্যদিকে, উচ্চমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড। এবার বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। মিরাজ যেমন ক্রিকেট তারকা, ওয়ালটন তেমনি প্রযুক্তিপণ্যের জগতে তারকা। এই দুই তারকা আজ এক হলো। মিরাজ আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। মিরাজকে আমরা সব সময় সবার উপরে দেখতে চাই।
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, মেহেদি হাসান মিরাজকে পেয়ে আমরা গর্বিত। ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে মিরাজও গর্বিত। আমাদের প্রত্যাশা, মেধাবী অলরাউন্ডার মিরাজ এক সময় বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের শীর্ষ দল। একজন বাংলাদেশি হিসেবে স্বপ্ন দেখি মিরাজের হাত ধরেই একদিন বিশ্বকাপ জিতবো আমরা। ওয়ালটনও হতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড। মিরাজ এবং ওয়ালটনের এই যুগপদ পথচলা সফল হোক।
অনুষ্ঠানে মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ালটন বরাবরই এগিয়ে। শুধু ক্রিকেট নয়, ক্রিকেটারদের পৃষ্ঠপোষকতাও দিচ্ছে ওয়ালটন। যখন আমার তেমন পরিচিতি ছিল না, তখন ওয়ালটন আমাকে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর করেছে। আজ তারা আমাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর-এর মর্যাদা দিলো। এটা অনেক বড় সম্মানের। এ সম্মান পেয়ে আমি গর্ববোধ করছি। আমি নিজেকে ওয়ালটন পরিবারের একজন বলে মনে করি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দেশ-বিদেশে ওয়ালটনকে প্রতিনিধিত্ব করার এবং ওয়ালটনের ব্র্র্যান্ড ইমেজকে আরো বৃদ্ধি করার।