দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেছেন, কতোগুলো লোক পড়া মুখস্থ করে আমলা হয়, এই আমলারা সব কুবুদ্ধি দেয় মন্ত্রিপরিষদকে এবং রাজনীতিবিদদের। কোনোদিন ডিপে-ডিটেইলে গিয়ে ভাববার শক্তি তাদের নেই, কারণ তারা সবাই ব্যবসায়ী। একটা ব্যবসায়ীশাসিত সমাজে আছি। এসময় আমলাতন্ত্রকে ‘অযোগ্য’ আখ্যা দেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ আয়োজিত শীতকালীন নিয়মিত পথনাটক কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলাদের ভোট না দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মামুনুর রশীদ বলেন, আমি বলব, আগামী নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের যেন নমিনেশন না দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা আজকে মুদ্রাস্ফীতি বানিয়ে নিজেদের স্বার্থে দেশকে কোথায় নিয়ে এসেছে। এই তো মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সরকারের এমপিদের দেখেন, তারা ছিল শিক্ষক, উকিল, বুদ্ধিজীবী, না হলে একেবারে খেটেখাওয়া মানুষ। আমার এলাকার এমপির একটা সাইকেলও ছিল না।
তিনি আরো বলেন, টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীরা সবকিছু কিনে নিয়েছে। এই দেশপ্রেমহীন ব্যবসায়ীদের ভোট দেয়া উচিত নয়, কেউ দেবেন না এবং আমলাদের দেবেন না। এই সাবেক আমলারা সারাজীবন মানুষের বিপক্ষে কাজ করেছে। চাকরির রিটায়ার্ড করার পরে এই ...... কলাম লেখা শুরু করে। এদের থাপড়ানো দরকার। এই তুই যখন ডিসি ছিলি, সচিব ছিলি তখন তুই কী করছিস ........, এখন কলাম লিখিস।
মামুনুর রশীদ আরো বলেন, লর্ড ক্লাইভ লুণ্ঠন করে দেশে ফিরে তার বিচার হয়েছিলো, তাকে সবাই থুতু দিত। কিন্তু আমাদের দেশে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে কি কেউ ঘৃণা করে? পাজেরো গাড়িতে করে এমপি ঘুরছে, তাকে কি কেউ থুতু দেয়, তুমি এত টাকা কেমনে করলা, কয়দিন আগে তুমি পানের দোকান করতা, এত অল্প সময়ে এত টাকা কেমনে করলা?’
নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা চাই, দেশপ্রেমিকরা দেশ শাসন করুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বিষয়গুলো ছিলো, সেগুলো তারা ধারণ করুক। সেভাবেই রাজনীতি পরিচালিত হোক। রাজনীতিবিদরা যাই করুক না করুক, আমাদের পথনাটকে কাঁচা মরিচের দামও কমাতে পারব না, পেঁয়াজের দামও কমাতে পারবো না। ওটা ব্যবসায়ীদের হাতে। আমরা যেটা করতে পারি এরকম গালাগালি ও এরকম আসল কথাগুলো পথনাটকে বলবো।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান।