কত টাকা চাঁদায় মাসিক কত টাকা পেনশন

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচিটি সফলভাবে উদ্বোধনের পরই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে অর্থ বিভাগ। ‘ইউপেনশন’ নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার  থেকেই যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নাগরিক ৬০ বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করে অবসর জীবনের সময় পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 

শুরুতে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা- এই চার শ্রেণির মানুষের জন্য আলাদা স্কিম চালু হলেও আরও দুটি স্কিম সুবিধাজনক সময়ে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এতে প্রগতি প্যাকেজ বেসরকারি চাকরিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করবে। অন্যদিকে সুরক্ষা স্বকর্ম সংস্থান ব্যক্তিদের জন্য, নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য সমতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য প্রবাস প্যাকেজ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সর্বজনীন পেনশন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। 

জানা গেছে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী একজন ব্যক্তি এই পেনশন ব্যবস্থায় যোগ দিতে পারবেন। তবে, ব্যক্তিকে টানা ১০ বছর ধরে কিস্তি দিতে হবে। চাঁদাদাতাকে পেনশন দেওয়া শুরু হবে ৬০ বছর বয়সের পর। এর পর তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন মাসে মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পাবেন। তবে, চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে কেউ মারা গেলে জমা হওয়া অর্থ মুনাফাসহ ফেরত পাবেন নমিনি। পেনশনের অর্থ বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য হবে এবং মাসিক পেনশনের অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরাও পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে, কোনো স্কিমে অংশ নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশের সবার জন্য পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি কাউকেই আর কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। একটা বয়সে সবাই সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার পাবেন। তিনি আরও বলেন, পেনশন তহবিলের টাকা দেশের লাভজনক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হবে। এতে দেশ এগিয়ে যাবে। 

এছাড়া যেসব প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই; তারা পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। প্রগতি স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক এতে অংশ নিতে পারবেন। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমনÑ কৃষক, রিক্সাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিরা অংশ নিতে পারবেন সুরক্ষা স্কিমে। আর দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা (যাদের বর্তমান আয়সীমা বছরে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা) সমতা স্কিমে অংশ নিয়ে পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন।

এসব স্কিমের চাঁদার কিস্তি পছন্দ অনুযায়ী মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা যাবে। চাঁদা দেওয়ার সময়ের ভিত্তিতে চারটি স্কিমের জন্যই মাসিক চাঁদার পরিমাণ এবং পেনশনের পরিমাণ আলাদা আলাদাভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পেনশন স্কিমে অংশ নিতে বাংলাদেশী নাগরিকদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। পেনশন ব্যবস্থা পরিচালনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে অর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে পেনশন কর্মসূচির খুঁটিনাটি ঠিক করে গত রবিবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা জারি করে অর্থ বিভাগ। সেখানে বলা হয়, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশী নাগরিক নিজেদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও  পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

প্রথমেই নাম নিবন্ধন করতে হবে । পেনশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হলে নিবন্ধনের কাজটি করতে হবে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গিয়ে। পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সেখানে দেওয়া আছে। অনলাইনে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে আবেদন করলে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা জমা  দেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। যে কোনো স্কিমে নিবন্ধিত হওয়ার পর পেনশন কর্তৃপক্ষ ধার্যকৃত হারে নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে  পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে মাসিক চাঁদা জমা দেওয়া যাবে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে চাঁদা জমা দিতে পারবেন। 

পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে সেই আবেদন বাতিল হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রথমেই একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে যেখানে লেখা থাকবেÑ এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোনো ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না। এই পাতার নিচের দিকে ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। 

এখানে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা বা প্রগতি এই চার স্কিমের মধ্য  থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ,  মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি লিখে দিতে হবে। আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে একটি ওটিপি বা একবার ব্যবহারযোগ্য গোপন নম্বর আসবে, যা ফর্মে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরের ধাপে আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা। এ পাতায় এলে ব্যক্তির এনআইডি অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে (যেহেতু আগের পাতায় এনআইডি নম্বরের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে)।

তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লিখতে হবে এবং পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, দিনমজুর, আইনজীবী, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ আছে। সেখান থেকে নিজের পেশা নির্বাচন করতে হবে। 

সকল স্কিমের জন্য চাঁদার কিস্তি চাঁদাদাতার পছন্দ অনুযায়ী মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা যাবে। চাঁদার টাকা জমা হলে চাঁদাদাতার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে এসএমএস দিয়ে জানানো হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা না দিলে জরিমানার পরিমাণসহ জানিয়ে দেওয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পেনশন স্কিমে অংশ নিলে প্রতিষ্ঠান ও তার কর্মীদের চাঁদা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে জমা দিতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের জন্য এই স্কিমে অংশ নিলে স্কিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মচারী এবং বাকি ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। তবে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই স্কিমে অংশ না নিলে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিজ উদ্যোগে একাই এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। 

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা জমা দিতে না পারলে পরবর্তী এক মাস পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া চাঁদা জমা দেওয়া যাবে। এক মাস পার হলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১ শতাংশ হারে বিলম্ব ফি জমা দিয়ে হিসাব সচল রাখা যাবে। কোনো চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে তিন কিস্তির চাঁদা জমা না দিলে তার পেনশন হিসাব স্থগিত হবে। তবে নির্ধারিত বিলম্ব ফিসহ চাঁদা জমা দিয়ে হিসাব সচল করা যাবে। তবে মাসের নাম উল্লেখ করে যে কোনো পরিমাণ চাঁদার টাকা অগ্রিম জমা দেওয়া যাবে। কোনো চাঁদাদাতা চাঁদা প্রদানকালে শারীরিক ও মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ী বা সাময়িকভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মহীন ও উপার্জনে অসমর্থ হলে তাকে অসচ্ছল চাঁদাদাতা হিসাবে ঘোষণার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করতে পারবেন।

অসচ্ছল চাঁদাদাতা হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর ১২ মাস পর্যন্ত চাঁদা না দিলেও পেনশন হিসাব স্থগিত হবে না। পেনশন স্কিমে চাঁদাদাতাকে নমিনি মনোনয়ন করে দিতে হবে। নমিনি মারা গেলে নতুন নমিনি মনোনয়ন করতে হবে। চাঁদাদাতা নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত এবং সন্তানের বিয়ের জন্য খরচ করতে পেনশন স্কিমে জমাকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে নিতে পারবেন। ঋণ হিসাবে নেওয়া অর্থ পেনশন কর্তৃপক্ষ ধার্য করা ফিসহ ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনুসর জনকণ্ঠকে বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি মহৎ উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে এটি ভালো অবস্থানে যাবে বলেও আশা তার। তবে, বিশাল এ কার্যক্রম চালু করতে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হয়নি। এখনো কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেখা যাচ্ছে না। কারা কার্য পরিচালনা করবে, বোর্ডে কারা আছে, কারা পরিচালনা করবে; আমরা এখনো এসব বিষয় জানি না। এগুলো সময় নিয়ে করলে আরও ভালো হতো। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগের সুরক্ষার বিষয়েও সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। সেটা এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই  পেনশন স্কিমের বিনিয়োগ নীতি কী হবে, কোথায় বিনিয়োগ হবে; সেটা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। 
চার স্কিমে চাঁদার হার ॥ প্রবাস স্কিমে মাসিক ৫ হাজার কিংবা সাড়ে ৭ হাজার কিংবা ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিয়ে যুক্ত হওয়া যাবে। ১০ বছর পূর্তিতে ৫ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে পেনশন পাওয়া যাবে ৭ হাজার ৬৫১ টাকা হারে। সাড়ে ৭ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ১১ হাজার ৪৭৭ এবং ১০ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ১৫ হাজার ৩০২ টাকা পাওয়া যাবে। এভাবে ১৫, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫, ৪০ ও ৪২ বছর পূর্ণে পেনশনের হারও বাড়বে। ৪২ বছর পূর্ণ হলে ৫ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে পেনশন পাওয়া যাবে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা, সাড়ে ৭ হাজার টাকার কিস্তিতে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯১ টাকা এবং ১০ হাজার টাকার কিস্তিতে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা।

প্রগতি স্কিমে মাসিক ২ হাজার কিংবা ৩ হাজার কিংবা ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিয়ে যুক্ত হওয়া যাবে। ১০ বছর পূর্তিতে ২ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে পেনশন পাওয়া যাবে মাসে ৩ হাজার ৬০ টাকা হারে। ৩ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ৪ হাজার ৫৯১ এবং ৫ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ৭ হাজার ৬৫১ টাকা পাওয়া যাবে। এভাবে ১৫, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫, ৪০ ও ৪২ বছর পূর্ণে পেনশনের হারও বাড়বে। 
৪২ বছর পূর্ণ হলে ২ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে পেনশন পাওয়া যাবে ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকা, ৩ হাজার টাকার কিস্তিতে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা এবং ৫ হাজার টাকার কিস্তিতে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা। সুরক্ষা স্কিমে মাসিক ১ হাজার কিংবা ২ হাজার কিংবা ৩ হাজার কিংবা ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিয়ে যুক্ত হওয়া যাবে। ১০ বছর পূর্তিতে ১ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে পেনশন পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫৩০ টাকা হারে। ২ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ৩ হাজার ৬০টাকা, ৩ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকার কিস্তিতে মাসে ৭ হাজার ৬৫১ টাকা পাওয়া যাবে। এভাবে ১৫, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫, ৪০ ও ৪২ বছর পূর্ণে পেনশনের হারও বাড়বে। ৪২ বছর পূর্ণ হলে প্রতিমাসে পেনশন পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা হারে।

পাঁচ সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি ॥  পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সংস্থাগুলো হচ্ছে- নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড। এদিকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, পেনশন কর্মসূচিতে যোগদানের যোগ্যতা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধিমালা এবং জাতীয় পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বিধিমালা নামের তিনটি বিধিমালা হচ্ছে। এসব বিধিমালার খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এখন আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। এছাড়া সারাদেশের সোনালী ব্যাংকের প্রতিটি শাখা থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারবেন একজন গ্রাহক। পরবর্তী পর্যায়ে বেসরকারি খাতের অন্যান্য ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানকে এ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা হতে পারে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই - dainik shiksha একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক সাড়ে ৪ মাসে ১৮৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বিশেষজ্ঞরা যেসব বিষয়কে দায়ী করছেন - dainik shiksha সাড়ে ৪ মাসে ১৮৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বিশেষজ্ঞরা যেসব বিষয়কে দায়ী করছেন শতভাগ ফেল স্কুল-মাদরাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার উদ্যোগ - dainik shiksha শতভাগ ফেল স্কুল-মাদরাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার উদ্যোগ দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শ্রীপুরে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বাতিল - dainik shiksha শ্রীপুরে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বাতিল এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বিএনপি-জামায়াত মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেয় : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha বিএনপি-জামায়াত মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেয় : প্রধানমন্ত্রী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0084550380706787