কথিত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এর আগে হত্যার দায় স্বীকার করে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ঝালকাঠীর এ ছাত্রলীগ নেতা।
ঝালকাঠি সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: মহিতুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সায়মা পারভিন নামে এক ২০ বছরের তরুণীকে স্ত্রী দাবী করে তাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ঝালকাঠি সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান অনু (২৭)। এর আগে নিজের ফেসবুক পেজেও স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যার দায় স্বীকরা করেন তিনি। পরে অনুর দেয়া তথ্যে ঝালকাঠি শহরের গাবখান ইকোপার্কের নির্জন গাছের তলায় সায়মা পারভিন নামে ওই তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে ওই তরুণীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩টি ছুড়ির ক্ষত চিহ্ন শনাক্ত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতেই তাকে হত্যা করা হযেছে বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। ঝালকাঠী সরকারি কলেজের ছাত্রী তিনি।
এদিকে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা আলী ইমাম খান অনু সাংবাদিকদের কাছে দাবী করে বলেন, ৫ বছর আগে শহরের ফকির বাড়ি এলাকার প্রতিবেশি শাহাদাৎ হোসেন তালুকদারে মেয়ে সায়মা পারভিনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ৪ বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু গত কয়েকমাস আগে সায়মা অন্য এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে এবং মোবাইল ফোনে অশ্লিল চ্যাটিং করে। বিষয়টি জানতে পেরে সায়মাকে সরে আসতে বলেন তিনি । কিন্তু সায়মা তা না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকাল ১১টার দিকে শহরতলীর গাবখান ইকোপার্কে ডেকে সে একাই ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে সায়মাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শোকে ওই তরুণীর বাবা ও ভাইয়ের আহাজারি সবাইকে শোকাহত করে। এলাকাবাসীসহ স্বজনরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছেন।
ঝালকাঠি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ইকোপার্ক থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে । এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নিহত সায়মা পাভিন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী । তার বাবা দিলদার হোসেন শহরের ফকির বাড়ি সড়কের বাসিন্দা। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান অনু (২৭) নিহতের প্রতিবেশি এবং জেলা শহরের দলিল লেখক দিলদার খান হোসেনের ছেলে।
অনু জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি-এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু বলেন, কারো ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় সংগঠনের নয়।