উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। আকাশে ঘন মেঘে সুর্য ঢেকে থাকায় দিনের বেশিরভাগ সময় প্রাকৃতিক উষ্ণতাও পাচ্ছে না মানুষজন।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আরও কমতে পারে। আকাশে ঘন মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নীচে নেমে আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে জেলার নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের। খরকুটো জলিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। প্রচন্ড ঠান্ডায় গরু ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশুরাও পড়েছে কষ্টে।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিল পাড়া এলাকার বেলাল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এই শীতে ছোট ছোট দুইটা বাচ্চাকে নিয়ে খুবই সমস্যা পরেছি। শীতকালে ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালানোয় মুসকিল হয়েছে। অভাবের সংসার ছেলেদের গরমের কাপড় কিনবো তাও পারছি না।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৫০০ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। কয়েকদিন থেকে প্রচুর ঠাণ্ডা অনেক মানুষ কম্বলের জন্য আসছেন কিন্তু দিতে পারছি না। সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল মানুষজন এগিয়ে আসলে হয়তো অসহায় মানুষগুলোর অনেক উপকার হতো
জেলা প্রশাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ উপজেলায় ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ রয়েছে। আগামী ২-৩দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।