শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৪ দশমিক ৬৯ পেয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারীর মিনারা খাতুন। উপজেলার কাঁচকোল খামার সখিনা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে মানবিক শাখায় চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ ফল অর্জন করে সে।
জন্মের কিছুদিন পর মাকে হারানো মিনারার দুই হাতের কব্জি বাঁকা, নেই আঙ্গুল। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতা দমিয়ে দিতে পারেনি মিনারার মনের প্রবল আকাঙ্ক্ষাকে। ভালো ফল করে মানুষের মতো মানুষ হওয়া আর প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে নিয়ে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। দুই হাতের কব্জিতে কলম ধরে দেয় পরীক্ষা।
মিনারা চিলমারীর রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল দক্ষিণ বাঁধ এলাকার রফিকুল ইসলাম ও মৃত মর্জিনা বেগমের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে মিনারা ছোট। পেশায় দিনমজুর বাবা মায়ের মৃত্যুর পর বিয়ে করে সংসারে আনেন নতুন মা। অভাবের সংসারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে গড়া ঘরটুকুও ভেঙে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি মিনারা। সব প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে একে একে পিইসি, জেএসসি ও দাখিলে ভালো ফল অর্জন করল সে।
মিনারা দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানায়, প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। বড় হয়ে মানুষের সেবা করতে, প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে চায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা তার পাশে আছি। প্রয়োজনে তাকে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।