রাজশাহীতে বন্ধ স্কুলে শিক্ষার্থীদের বেতন নেয়ার নতুন ফন্দি হিসেবে করোনাকালে হঠাৎ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। এমন অবস্থায় অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর ডাশপুকুর মোড় এলাকার ‘শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ হঠাৎ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। অভিভাবকদের কাছে এমন একটি পরীক্ষার রুটিন পাঠানো হয়েছে। এতে অগস্ট মাস পর্যন্ত বেতন ও পরীক্ষা ফি ৪০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। যে শিক্ষার্থী পরীক্ষা ফি দেবে না তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এমন পরীক্ষার রুটিন ও নিচে এমন হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ অভিভাকরা। শিক্ষার্থীদের অর্ধ বাষিক পরীক্ষার ফি আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এমন কার্যক্রমে হতবাক অভিবাবকরা।
পরীক্ষার নামে বেতন আদায় এনিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রুটিন প্রকাশ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। সেই রুটিন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। রুটিনে শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২য় সাময়িক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। এই রুটিনের নিচে তিনটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
রুটিনে বলা হয়, ‘প্রদর্শিত সময়সূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিজ বাড়িতে অভিভাবকের উপস্থিতিতে ২য় সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। নিদিষ্ট তারিখে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র সগ্রহ করবে এবং পরীক্ষা শেষে যথাসময়ে বিদ্যালয়ে জমা দেবে। শিক্ষার্থীরা অগস্ট মাস পর্যন্ত বেতন ও পরীক্ষা ফি ৪০০ টাকা আগামী ১২ আগস্ট এর মধ্যে পরিশোধ করে পরীক্ষা জন্য নাম রেজিষ্ট্রশন করবে। নাম রেজিস্ট্রেশন না হলে সে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘করোনায় অনেক মানুষের কর্ম নেই। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার বেতন চাচ্ছেন শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এমন অবস্থায় পরীক্ষার ৪০০ টাকা ফি দেয়াই কষ্টকর। তার ওপরে আবার বেতন।’
এ নিয়ে কথা বলতে ‘শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ রুটিনে দেয়া মুঠোফেন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।