করোনায় আটকে গেছে উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন পাঠ্যবই মুদ্রণ ও রচনা কার্যক্রম। সরকারি তত্ত্বাবধানে থাকা ৪টি বই বিক্রির লক্ষ্যে দরপত্র কার্যক্রম এখন পর্যন্ত শুরুই করা যায়নি। জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, করোনার কারণে অন্যান্য কাজের মতো একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দরপত্রের কাজ কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আর যে বইটি এবার সরকারিভাবে বাজারজাত করার কথা সেটি রচনার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ডিসি সম্মেলনে বইটির মান নিয়ে আপত্তি ওঠায় সরকারিভাবে প্রণয়ন ও বাজারজাতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবার এখন পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়নি। এজন্য হয়তো কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় পাওয়া যেতে পারে। নয় লাখের বেশি বই ছাপা হতে পারে বলে জানান তারা।
এই স্তরের ৩৯টি বই আছে। এর মধ্যে এতদিন ৩টি বই বাজারজাত করে আসছিল সরকার। এনসিটিবি দরপত্রের মাধ্যমে আগ্রহী প্রকাশকদের বাজারজাতের কাজ দেন। বিনিময়ে ১১ শতাংশ হারে রয়্যালটি নেয় সরকার। চলতি বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) নামের বইটিও সরকারিভাবে বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত আছে। জানা গেছে, অন্য ৩৬টির সঙ্গে এতদিন আইসিটি গ্রন্থটিও বেসরকারি প্রকাশকরা সরকারি কারিকুলামের আলোকে প্রণয়ন করে এনসিটিবি থেকে অনুমোদন নিতেন।
এদিকে এবার এখন পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়নি। একেক পত্রিকা মনগড়া কথা প্রকাশ করে। কেউ বলে জুনে কেউ জুলাইয়ে। কিন্তু বাস্তবে এখনও কিছু ঠিক করা হয়নি।
অন্যান্য বছর গড়ে এক মাস সময় দেয়া হয় বই মুদ্রণ ও বাজারজাতের জন্য। সর্বশেষ গত বছর ১৩ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে একাধিক প্রকাশককে কাজ দেয়া হলে দুই সপ্তাহে বই ছাপানো ও বাজারজাত করা সম্ভব বলে মনে করেন এনসিটিবি কর্মকর্তারা।
তবে প্রকাশকরা দৈনিক শিক্ষাকে বলছেন, করোনার কারণে শ্রমিক সংকট আছে। বইয়ের কাঁচামাল কাগজ, কালি ও অন্যান্য সামগ্রী কেনাবেচা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। বাঁধাই শ্রমিকেরও সংকট আছে। সব মিলে বইয়ের কাজ ওঠাতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সময় কিছুটা বেশি লাগবে। সেই হিসাব করেই বইয়ের মুদ্রণের প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।