করোনায় উপার্জন বন্ধ : মানবেতর জীবনযাপন করছে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পলাশ উপজেলায় মহামারি করোনা সংক্রমণজনিত কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৩ মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভালো নেই অর্ধশতাধিকের ওপরে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা। অনেকেই আর্থিক অনটনের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করে দুঃসহ সময় অতিক্রম করছেন। কেউ কেউ পেশা পাল্টে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে পলাশের ৬৪টি কিন্ডারগার্টেন। এতে সাত শতাধিক স্থানীয় শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণী শিক্ষকতা করেন। বিদ্যালয়ের সামান্য বেতন আর প্রাইভেট টিউশনি ছিল তাদের ভরসা। এসব স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা বর্তমানে ১৩ মাস ধরে পুরোপুরি কর্মহীন। আয় উপার্জন বন্ধ থাকায় তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

পলাশ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে এসব কিন্ডারগার্টেন বেশিরভাগই ভাড়া বাসায়। যারা স্কুলগুলো পরিচালনা করেন তারাও এক বছর ধরে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেনকে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেকেই স্কুলের ভাড়া পরিশোধ করতে না পেরে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।

উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের পূবালী এলাকার আর্লিবার্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ মুস্তফা ইসলাহী জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন পাচ্ছি না। ফলে শিক্ষকদেরও বেতন দেওয়া হচ্ছে না। আমার স্কুলে ৩ জন কর্মচারী ও ১২ জন শিক্ষক শিক্ষকতা করে আসছেন। স্কুল বন্ধ থাকায় এখন সবাই কর্মহীন।

আরমান মিয়া নামে এক শিক্ষক বলেন, প্রায় এক বছর ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেতন পাচ্ছি না। আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি কর্তৃপক্ষও খোঁজ রাখে না। গত এক বছর ধরে বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল দিতে পারছি না। মাঝে মধ্যে আত্মীয়স্বজনরা সহযোগিতা করেন। এভাবে বাঁচা যায় না। 

পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের হাজী আসরাফ আলী ল্যাবরেটরি কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ ও পলাশ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কারিউল্লাহ সরকার জানান, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি টিউশনির ওপর নির্ভরশীল। এক বছর ধরে এসব শিক্ষকের কোনো আয় উপার্জন না থাকায় তারা চরম অর্থ সংকটে জীবনযাপন করছেন।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমানা ইয়াসমিন জানান, সরকারিভাবে এ শিক্ষকদের প্রণোদনার কোনো নির্দেশনা এখনও পাইনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024299621582031