ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির প্রভাবে সারাবিশ্বে নতুন করে ৬ কোটির বেশি মানুষ হতদরিদ্র হয়ে পড়বে। এর মানে হলো বিশ্বব্যাপী গত তিন বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে যে অগ্রগতি হয়েছে, করোনার প্রভাবে সেটি ম্লান হয়ে যাবে। করোনা পরিস্থিতি এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তার বিষয়ে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এবছর গভীর মন্দার আশঙ্কা করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি এবছর ৫ শতাংশ সংকোচন হতে পারে। করোনার এই মহামারির প্রভাবে বহু পরিবার তার প্রিয় মানুষদের হারিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ চাকরি ও জীবিকা হারাচ্ছে। সারাবিশ্বেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বড়ো ধরনের চাপে রয়েছে। ম্যালপাস বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বাস্থ্যগত ও লকডাউনের কারণে যে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে, তা মারাত্মক।
তিনি জানান, সদস্য দেশগুলোকে সংকট মোকাবিলায় স্বল্প সুদে বিশ্বব্যাংক ১৫ মাসের মধ্যে ১৬০ বিলিয়ন ডলারের (১৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা) অর্থায়ন করার ঘোষণা দিয়েছে। ১০০টি দেশের জন্য ইতিমধ্যে জরুরি অর্থ ছাড় করা হয়েছে। এই ১০০ দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বাস করে। এই অর্থ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে।
তবে তিনি একথাও বলেন, বিশ্বব্যাংক যে পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করছে, তা পর্যাপ্ত নয়। ম্যালপাস বলেন, নিম্ন আয়ের দেশে ঋণ পরিশোধ স্থগিতের ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের অনীহা দেখে তিনি হতাশ।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখার জন্য ইতিমধ্যে ১৪টি দেশ ঋণদাতাদের কাছে আবেদন করেছে। আরো ২৩টি দেশ আবেদন করতে যাচ্ছে। ১৭টি দেশ আবেদনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এটি করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে জি-২০ভুক্ত দেশগুলো এ ধরনের উদ্যোগকে সম্মতি জানিয়েছে। চীন অন্য দেশকে দেওয়া বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধে শিথিল হবার ইঙ্গিত দিয়েছে, একে স্বাগত জানিয়েছেন ম্যালপাস।