করোনা : তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ ফাঁকা, উধাও জেকেজির কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর অজানা ভয় ও গ্রেফতার-আতঙ্ক বিরাজ করছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের মধ্যে। রাজধানীর সরকারী তিতুমীর কলেজে বুথসহ সব কিছু রেখে সটকে পড়েছেন তারা।

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে করোনা বুথ স্থাপন ও ক্যাম্প করে নমুনা সংগ্রহের কাজ করে আসছিলেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মীরা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতারের পরে কলেজে আর তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজটিতে মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই, ব্যবহৃত জামা-কাপড়সহ করোনা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপকরণ ফেলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা পালিয়ে গেছেন। তবে, তাদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানা যায়নি।

তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রাত থেকেই তারা ক্যাম্পাস থেকে চলে গেছেন।

তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসে তাদের প্রায় পৌনে দুইশ কর্মীর মতো অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকে এখানে একজন কর্মীও নেই। আমরা বিষয়টি বনানী থানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানিয়েছি।

এদিকে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে আরিফুল চৌধুরী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া গ্রেফতার হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা দম্পতি জেকেজির সাবেক স্টাফ।

এ ঘটনায় কোভিড-১৯ সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ, কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে তাদের অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এর আগে, জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মী ও তিতুমীর কলেজের কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিতুমীর কলেজের ছয়জন স্টাফ আহত হন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেয়া হয় নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনের জন্য। এজন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই সরবরাহ করা হতো সরকারিভাবে। তবে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি এই সুবিধা নিয়ে বাসায় গিয়ে অবৈধভাবে নমুনা সংগ্রহ করত, যার কোনো অনুমতি ছিল না। আবার বাসা থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ফলাফল দেয়ার ক্ষেত্রেও মানত না সরকারি নিয়ম। আর এভাবে প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নিতো একটা বিশাল অংকের টাকা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030560493469238