করোনা : মরদেহ দেখতে পারবেন পরিবারের সদস্যরা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

কোভিড-১৯ সংক্রমণে কারো মৃত্যু হলে নির্দিষ্ট শর্ত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃতের পরিবারের সদস্যদের মরদেহ দেখার অনুমতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন।

সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এখন থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যু হলে নির্দিষ্ট শর্ত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃতের পরিবারের সদস্যদের মরদেহ দেখার অনুমতি দেওয়া হবে।

এতদিন পর্যন্ত কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যুতে সংক্রমণের আশঙ্কায় মরদেহ দেখতে দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। পরিবারে মৃত্যু সংবাদ দেওয়ার পরে বিশেষ ভাবে দেহ মুড়ে সুরক্ষিত গাড়িতে তা নিয়ে গিয়ে দাহ করার রীতি চালু ছিল।

প্রশাসনিক সূত্রে আরও জানা যায়, এখন থেকে মরদেহ স্বচ্ছ প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলার পরে তা আত্মীয়-পরিজনকে দেখতে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করে দূর থেকে দেহ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের। তারপরে আগের পদ্ধতিতেই দেহ সৎকার করা হবে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের প্রভাব বিস্তার করার পরে নবান্নে এক বৈঠকে নির্দিষ্ট বিধি মেনে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদেহ থেকে জীবাণু যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তিনি বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনা আক্রান্তের মরদেহ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের দেহ থেকে করোনা সংক্রমিত হওয়ার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

মরদেহ সৎকারের বিষয়ে ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। ডব্লিউএইচও বলছে রীতি মেনে মৃতদেহ সৎকারের আগে স্বজনরা শেষবারের জন্য প্রিয়জনের মুখ দেখতে পারেন। তবে মৃতদেহ স্পর্শ করা বা চুমু খাওয়া যাবে না। সমাধিস্থ করার পর এর দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের গ্লাভস খুলে ফেলার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে।

যারা মৃতদেহের সংস্পর্শে আসবেন তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পরবেন ( পিপিই, গাউন এবং গ্লাভসসহ)।

মৃতদেহের জন্য আলাদা ব্যাগের দরকার নেই, তবে অন্য কোনো কারণে প্রয়োজন হতে পারে (মৃতদেহের শরীর থেকে কোনো তরল গড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে)।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025348663330078