করোনা সংক্রমণের রেকর্ড : ফের বন্ধ হতে পারে ফ্রান্সের স্কুল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ফ্রান্সে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগী বেড়েছে। ১ সেপ্টেম্বর সেখানে স্কুল খুলে দেয়া হয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে, স্কুল যদি আবার বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে শিশুদের দেখাশোনার জন্য বাবামায়েদের বাড়িতেই থাকতে হবে। অবশ্য এ জন্য তাদের বেতন দেয়া হবে।

বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ করে দেয়া হলে ১৬ বছরের নিচে বয়সী শিশুদের দেখাশোনার জন্য অভিভাবকদের বাসায় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বাড়ির একজন অভিভাবক তার বেতনের শতকরা ৮৪ ভাগ পাবেন।

বৃহস্পতিবার নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪৩ জন। এ যাবতকালের মধ্যে এটা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের সংখ্যা। টানা ১২ দিন সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আইসিইউতে রাখা হয়েছে ৬১৫ জন রোগীকে। জুনের পর এমন অবস্থা দেখা যায়নি।

১ সেপ্টেম্বর স্কুল খুলে দেয়ার পর ফ্রান্সে নতুন করে গুচ্ছাকারে করোনা সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এর ফলে এরই মধ্যে ৩৪টি স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ৫০০ ক্লাস। নতুন করে যদি বাধ্য হয়ে সরকার স্কুল খুলে দেয়,তাহলে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই ধর্তব্য হবে অভিভাবকদের বেতন। ফরাসি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার নতুন ৯ হাজার ৮৪৩ জন আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করার পর বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছে সরকার। 

৬ দিন আগে ফ্রান্সে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৭৫ জন। কিন্তু বৃহস্পতিবার এর চেয়েও প্রায় ৯০০ আক্রান্ত বেড়ে যায়। এই মাস শুরুর পর থেকে গড়ে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে ৭২৯২। 

অথচ আগস্টে প্রতিদিন সেখানে আক্রান্তের সর্বোচ্চ গড় নির্ধারণ করা হয় ৩০০৩। ২৮ শে আগস্ট সংক্রমিতের সংখ্যা কমে ৪৫৩০-তে আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ২৪ ঘন্টায় সেখানে এ সংখ্যা ৯৩ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০৯৬। এক মাসের মোট হাসপাতালে ভর্তির মোট সংখ্যার চেয়েও বেশি এই সংখ্যা।

তবে ১৪ই এপ্রিলে পিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগির সংখ্যার চেয়ে এই সংখ্যা ৬ গুণেরও কম। ৮ই এপ্রিল সেখানে আইসিইউতে রাখা রোগির সংখ্যা ছিল ৭১৪৮। সেই সংখ্যাও এখন অনেক কম। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিশোর, যুব শ্রেণি। তারা এতে আক্রান্ত হওয়ার পর সংক্রমণের জটিলতা প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে বর্তমানে টানা ১২ দিনের মতো সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002586841583252