নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোখলেসুর রহমান দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে বাড়িতে ফিরলেন সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে। ৩০ বছর আগে তমালতলা আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন খন্দকার মোখলেসুর রহমান। সেদিন বিদ্যালয়ে ছাত্রী ছিল মাত্র তিনজন। বিদায়ের এ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন চার শতাধিক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে তিনি বাড়িতে ফিরলেন সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে।
প্রধান শিক্ষের বিদায়ের মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সকালে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করে স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাগাতিবাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া মমতাজ। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, সদর উইনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফাইমা খাতুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাজেদুর রহমান, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হায়দার রশিদ, শিক্ষক রাজিব হোসেন, শিক্ষার্থী মাইশা খাতুন, মালিহা খাতুন ও মাহিমা খাতুন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক রাজিব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের এটাই প্রথম বিদায় অনুষ্ঠান। দীর্ঘ ৩০ বছর মোখলেসুর রহমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির জন্য নিরলস চেষ্টা করেছেন। তিনি একাধারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেছেন, আবার প্রশাসনিক দায়িত্বও সুষ্ঠভাবে পালন করেছেন। তিনি অন্য শিক্ষকদের জন্য আদর্শ ছিলেন।
শিক্ষার্থী মাইশা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক শুধু বইয়ের শিক্ষার আলোয় ছড়াননি, তিনি অভিভাবক হিসেবে তাদের ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন।
বিদায়ী বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোখলেসুর রহমান বলেন, বিদায় বড় কষ্টের হলেও আজ অনেক ভালো লাগছে। মাত্র তিনজন ছাত্রী নিয়ে শুরু করে এখন প্রতিষ্ঠানে চার শতাধিক ছাত্রী রেখে গেলাম। এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে অনেকেই দেশের বড় বড় জায়গায় কর্মরত আছেন।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাকি জীবনের কল্যাণের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।