কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’

দৈনিক শিক্ষাডটকম, কলকাতা |

কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে সরকারিভাবে স্থান পেয়েছে গবেষণাগ্রন্থ ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’৷ বইটি লিখেছেন শিক্ষাবিষয়ক বাংলাদেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার প্রধান সম্পাদক ও শিক্ষাবিষয়ক গবেষক লেখক সিদ্দিকুর রহমান খান। শিক্ষা ও সংসদ সাংবাদিকতায় দীর্ঘ সময়ে গভীর অনুসন্ধানী একগুচ্ছ প্রতিবেদনের সঙ্গে হালনাগাদ সব এক্সক্লুসিভ তথ্যজুড়ে তিনি বইটি সাজিয়েছেন। 

আরো পড়ুন: কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে

সম্প্রতি এই বই কলকাতার ন্যাশানাল লাইব্রেরিতে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন দৈনিক আমাদের বার্তার কলকাতা প্রতিনিধি কে কে মল্লিক৷ 

বইটি গ্রহণ করেছেন কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের লাইব্রেরি ইনফরমেশন-এর সহযোগী শ্যামল সাহা এবং গ্রন্থাগার মাল্টি টাস্কিং-এর কর্মী শান্তনু হালদার ৷ 

এরপর তারা বইটি সরকারিভাবে তুলে দেবেন জাতীয় গ্রন্থাগারের সহকারি লাইব্রেরি এবং ইনফরমেশন অফিসার সৌমেন কুমার মন্ডলের হাতে ৷ 

‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ বইয়ে অতি বিরল ও গোপনীয় নথির সংযোজন এই প্রকাশনাকে আরো অতুলনীয় করে তুলেছে। যারা কওমি মাদরাসা নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো বই খুঁজছিলেন তাদের হাতে স্বস্তির বারতা হয়ে উঠতে পারে এই বই। সরকার নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদরাসার কোন সনদের স্বীকৃতি ও সমমান কবে দেয়া হয়েছিলো সে বিষয়েও লেখা রয়েছে বইটিতে। বইটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।   

উল্লেখ্য, কলকাতা ন্যাশানাল লাইব্রেরি হলো ভারত তথা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ একটি গ্রন্থাগার৷ ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ কলকাতার আলিপুরের বেলভেডিয়ার এস্টেটে এটির অবস্থান ৷ আগে নাম ছিলো কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরি ৷

বর্তমানে ২.৫ মিলিয়নের বেশি বই এই গ্রন্থাগারে রয়েছে ৷ দেশ-বিদেশের পাঠক বিনামূল্যে এই গ্রন্থাগারে বই পড়া এবং গবেষণা করার সুযোগ পান ৷ এই বিপুল সংখ্যক বইয়ের মাঝে স্থান পেলো সিদ্দিকুর রহমান খান -এর লেখা ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’৷  

১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় এটি ছিলো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন এই লাইব্রেরির প্রথম মালিক। ভারতের তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড মেটকাফ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ লাইব্রেরির ৪ হাজার ৬৭৫টি বই এই গ্রন্থাগারে দান করেছিলেন। শুধু বাংলা বা ইংরেজি নয় এই গ্রন্থাগারে ভারতের সব ভাষার বই সুন্দরভাবে সংরক্ষিত আছে৷ পথিবীর অন্যান্য দেশের ভাষার বই ও পাঠকরা পড়া এবং গবেষণার জন্য এখান থেকে পেতে পারেন ৷ সপ্তাহের একদিনও বন্ধ থাকে না এই লাইব্রেরি ৷ 

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক - dainik shiksha আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে - dainik shiksha শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা - dainik shiksha কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর - dainik shiksha সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু - dainik shiksha সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030598640441895