দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সানজিদা আক্তার নিশি মনি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রী অপহরণ মামলায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা কশিগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো আশরাফুলের পুত্র রিফত ও নওশাদ আলীর পুত্র রনি ।
থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সানজিদার মা ফরিদা বেগম তার বাবার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। শনিবার সন্ধ্যায় সানজিদার বাবা আয়নুল হক রাণীগঞ্জ বাজারে গেলে ৮-৯ জন লোক একটি সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৬-৭ জন বাড়ির সামনের দরজার গেট বন্ধ থাকায় পিছনের প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়িতে সানজিদাকে একা পেয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় অপহরণকারীদের সানজিদার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে অপহরণকারীরা ছুরিকাঘাত করে সানজিদাকে। ফলে তার শরীরের থাকা ওড়নাটি রক্তে ভিজে যায়। অপহরণকারীরা ওড়নাটি ফেলে রেখেই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে তোলা পর্যন্ত রাস্তায় থোকা থোকা রক্ত পড়ে রয়েছে।
বিষয়টি ঘোড়াঘাট থানায় অবগত করা হলে অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আশরাফুলের পুত্র রিফত (২৫) ও নওশাদ আলীর পুত্র রনিকে (২৬) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘোড়াঘাট থানায় নিয়ে যায়। শনিবার সানজিদার পিতা আয়নাল একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। সানজিদা ঘোড়াঘাট ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
আয়নাল জানান, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তি পণের দাবি করেছে। সানজিদার মা’র ধারণা তার মেয়ে আদৌ বেঁচে আছে কিনা।