কুমিল্লায় কলেজছাত্র মাইনুল ইসলাম ওরফে পাভেল খুনের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা ডিবি ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ কুমিল্লা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।
নিহত পাভেল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের ফুলের নাওড়ী গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূর ইসলামের ছেলে। সে ফেনীর মহিপাল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ফেনী সদর থানার গজারিয়াকান্দি (শর্শদি) গ্রামের আবু হুরাইরা অনিক, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাসার গ্রামের সালমান হোসেন, নাঈমুল হক ওরফে রাকিব, ধোপাখিলা গ্রামের নাজিমুল হক জয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, আসামি রাকিবের সঙ্গে এক মাস আগে নিহত পাভেলের কথা কাটাকাটি হয়। উক্ত ঘটনাটি রাকিব তার বাড়ি (চৌদ্দগ্রামের আলকরা গ্রাম) এসে বন্ধুদের জানায়। তখন থেকেই রাকিব ও তার সহযোগীরা পাভেলকে মারধর করার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে পাভেল তার নানার বাড়ি চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা গ্রামের মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিলো। সুযোগ বুঝে রাকিব ও তার সহযোগীরা একত্রিত হয়ে পাভেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় পাভেলকে বাঁচাতে আসলে রাকিব ও তার সহযোগীদের হাতে পাভেলের ৪ বন্ধু ইকবাল, সিয়াম, শাহাদাত ও বিজয় আহত হয়।
আহত পাভেলকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত ইকবাল ও সিয়াম চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং শাহাদাত হোসেন ও বিজয় ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
নিহতের মা লিপি ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান আরও জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে ডিবি ও থানা পুলিশের আলাদা টিম অভিযানে মাঠে নেমেছে। অভিযান পরিচালনা করে ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।