দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের ক্যাম্পাস থেকে সরকারি গাছ কেটে গ্যাঁড়াকলে অধ্যক্ষ এ আর এম মোবাশ্বেরুল হক। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, এতো অনিয়ম করে কীভাবে এখনো তিনি স্বপদে বহাল থাকেন?
এই অধ্যক্ষের আচরণে শিক্ষক-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বলে একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
অভিযোগের কপি থেকে জানা যায়, হকের অনিয়মের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই তিনি নিজের ক্ষমতা দেখান। সামান্য ব্যাপারে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন তিনি।
অধ্যক্ষ হক গত বছরের ১২ মে কলেজ ক্যাম্পাসের সাতটি বড় মেহগনি গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই গাছ কাটার জন্য জেলা বা উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমোদন নেননি। যা সম্পূর্ণ নীতি বিরোধী কাজ বলে অভিহিত করেছেন একাধিক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি।
তারই সহকর্মীরা এই সংক্রান্ত অভিযোগ ঊর্ধ্বতন মহলে দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া তদন্তে নেমে এর সত্যত্যা পান। পরে অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনিও সেটা স্বীকার করে ক্ষমা চান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বিষয়টি তদন্তাধীন। এই মুর্হূতে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক বলেন, এটা দুই বছর আগের ঘটনা। ঝড়ে পড়া গাছ ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কাটা হয়েছে। গাছগুলো পড়ে যাওয়ায় অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিলো। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছিলো তাই গাছগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে আমার প্রতিপক্ষ অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষের কাছে আমি ভুল স্বীকার করি। এ বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন আছে। তদন্ত কমিটি আমার বিষয়টি আশা করি দেখবেন।
এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, এলাকার একদল লোক হয়রানির জন্য পায়তারা করছে। এ সব অভিযোগ দিয়ে তারা ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া এই খবর নিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে সুবিধা নেবেন তারা। এমন কি টাকা দাবি করে বসতে পারেন বলেও অভিযোগ করেন এই অধ্যক্ষ।