কলেজে ভর্তিতে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ভারতে ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও তার সঙ্গে যুক্ত সব কলেজে ভর্তি হতে গেলে এবার থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে।  

দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আর কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে এবার থেকে কেন্দ্রীয় স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে। ভারতের নামী দামী অনেক কলেজই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা ইউজিসি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এই পরীক্ষার নাম দেয়া হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স টেস্ট। বাংলা, ইংরাজি, উর্দু, মারাঠি, হিন্দি সহ মোট ১৩টি ভাষায় এই পরীক্ষা দেয়া যাবে। আগামী এপ্রিল মাসে এই পরীক্ষা দেয়ার জন্য আবেদনপত্র ভরতে হবে। পরীক্ষা হবে জুলাই মাসে। ততক্ষণে সব বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়।

কেন এই সিদ্ধান্ত?

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতে প্রতিবছর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসআরসিসি, এলএসআর, মিরান্ডা হাউস, সেন্ট স্টিফেন্স, হিন্দুর মতো কলেজগুলিতে অর্থনীতি সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কাট অফ মার্কস রাখা হচ্ছে একশ শতাংশ। অর্থাৎ, একশ শতাংশ মার্কস না পেলে ওই কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।

ইউজিসির চেয়ারপার্সন জগদেশ কুমার বলেছেন, ''দেশের কিছু প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামী কলেজে একশ শতাংশ নম্বর না পেলে ভর্তি হওয়া যাবে না, এটা মেনে নেয়া যায় না। প্রবেশিকা পরীক্ষায় সকলে সমান সুযোগ পাবেন। তারা নম্বর তোলার দিকে নয়, বিষয়টা জানার দিকে নজর দেবেন।''

এই পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি। কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হবে। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা, কলেজ শিক্ষকদের চাকরিতে যোগ্যতা অর্জনকারী নেট পরীক্ষা সব এখন তারাই নেয়।

ইউজিসি সব রাজ্য সরকার ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকে বলেছে, তারাও যেন এই পরীক্ষার ফল অনুসারেই তাদের কলেজগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করান।

সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু

এই ব্যবস্থা সব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হবে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মানবে, তেমনই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কেও মানতে হবে বলে জগদেশ কুমার জানিয়েছেন।

তার দাবি, এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের একটা পরীক্ষা দিলেই হবে। ফলে তারা অনেক বেশি স্বস্তিতে থাকবেন। তিনি বলেছেন, এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই কলেজে ভর্তি করতে হবে। তবে তার সঙ্গে বারো ক্লাসের পরীক্ষায় ন্যূনতম একটা নম্বর পাওয়ার বিষয়টি কলেজগুলি ঠিক করতে পারবে। তবে তা কখনোই একশ শতাংশ হবে না।

ইউজিসির চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, সংরক্ষণ নীতি আগের মতোই চালু থাকবে। শুধু আগের তুলনায় একটাই ফারাক হবে যে, তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্য অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েই আসতে হবে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, ইউজিসি-র নির্দেশিকা)

সূত্র: ডয়চে ভেলে


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029520988464355