কলেজ এমপিওভুক্ত হতেই বাদ আগের শিক্ষকরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষককে বাদ দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির যোগসাজসে অবৈধভাবে নতুন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। বুধবার কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষকরা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানাধীন কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়টি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রক্ত-ঘামের বিনিময় কাজ করে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কলেজের বিভিন্ন কাজের জন্য জনপ্রতি তারা প্রায় ১৭ লাখ করে টাকা অধ্যক্ষকে দিয়েছেন।

সে অনুযায়ী কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষা, প্রশিক্ষণসহ সাবির্ক কর্মকাণ্ডে এই শিক্ষকদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল। ২০১৫ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শিক্ষক জরিপ তথা ব্যানবেইস এ তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কিন্তু ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে কলেজ অধ্যক্ষ নতুন করে আরো ১০ লাখ টাকা করে দাবি করেন। সে টাকা দিতে না পারায় অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে যান। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাফিজুল মন্ডল ও সভাপতি এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের যোগযাজসে নিয়োগপ্রাপ্ত ৯ জন প্রভাষক ও ২ জন প্রদর্শককে বঞ্চিত করে তাদের জায়গায় অবৈধভাবে অন্য প্রভাষক ও প্রদর্শক নিয়োগ দেন। ৬ নভেম্বর নতুন শিক্ষকদের নাম ২০২২-২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ব্যানবেইসের তথ্যে এ অন্তর্ভুক্ত করেন, যা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ আইনের এর ২৬(খ) এবং ১৭.২ নং দফার পরিপন্থি। সে নিয়মে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবরের পর কোন প্রতিষ্ঠান কোন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। 

আরো পড়ুন : ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগ ঠেকাতে এমপিওভুক্তিতে ব্যানবেইসের তথ্য যাচাই

 

তিনি আরে বলেন, এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে শুরু করে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস, পরিচালক রংপুর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করার পরও অদৃশ্য কারণে এর সুরাহা হয়নি। তাই এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। চাকুরির বয়স শেষ হওয়ায় এই চাকুরি না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে কলেজ মাঠে আত্মহুতি দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম - dainik shiksha ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান - dainik shiksha জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা - dainik shiksha এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি - dainik shiksha কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - dainik shiksha কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক - dainik shiksha আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029740333557129